হায়দারাবাদ: দাগহীন ত্বক পেতে কে না চায়! কিন্তু বহু চেষ্টার পরেও বয়সের প্রভাব ত্বকে পড়তে শুরু করে এবং মুখ, হাত ইত্যাদিতে কালো দাগ পড়তে শুরু করে । লিভার স্পট, মেলাসমা, প্রেগন্যান্সি মার্ক ইত্যাদির কারণে পিগমেন্টেশন দেখা দিতে পারে ৷
কী কারণে কালো দাগ হয় ?
ত্বকে দাগকে বলা হয় হাইপারপিগমেন্টেশন (কালো দাগ)। ত্বকের কোষে মেলানোসাইট মেলানিন উৎপন্ন করে । কিন্তু এটি এখানে-ওখানে খুব বেশি উৎপন্ন হয় এবং ত্বকে পিগমেন্টেশন তৈরি হয় । এগুলি কমাতে এই টিপসগুলি মেনে চলতে পারেন ৷
অ্যালোভেরা: বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে থাকা অ্যালোইন নামক উপাদান পিগমেন্টেশনের সমস্যা কমায় । এজন্য রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরার পাল্প ব্যবহার করতে পারেন । পরদিন সকালে কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । এটি প্রতিদিন করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে ৷
2017 সালে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় জানা যায়, যারা 8 সপ্তাহ ধরে পিগমেন্টেশনের উপর দিনে দু'বার অ্যালোভেরা জেল প্রয়োগ করেছেন তারা দাগের রং এবং আকারে উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেখেছেন । পাকিস্তানের লাহোর পঞ্জাব মেডিক্যাল কলেজের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ জাভেদ আহমেদ এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন ।
আপেল সিডার ভিনিগার: আপেল সিডার ভিনিগার এবং জল সমান পরিমাণে নিয়ে এই মিশ্রণটি তুলো দিয়ে দাগের জায়গায় ব্যবহার করুন । দুই থেকে তিন মিনিট পর কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । দিনে দু'বার করলে কয়েকদিনের মধ্যেই সমস্যা কমে যাবে ৷
পেঁয়াজের রস: বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁয়াজের রসে ত্বকের কালো দাগ কমানোর বৈশিষ্ট্য রয়েছে । তাই দাগের উপর না-লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার করলে কিছুদিনের মধ্যেই সমস্যা কমে যাবে বলে জানা যায়।
দুধ:একটি তুলোর বল দুধে ডুবিয়ে দাগের উপর ঘষে নিন । এটি দিনে দু'বার করলে সমস্যা তাড়াতাড়ি কমে যাবে ।
অ্যালোভেরা: বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো দাগ দূর করতে এই ফেসপ্যাক খুবই উপকারী । এর জন্য প্রথমে এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরার পাল্প নিন । এতে এক টেবিল চামচ গোলাপ জল মেশান । তারপর দু ফোঁটা লেবুর রস দিন । এই তিনটি মিশিয়ে দাগে লাগিয়ে দশ মিনিট পর মাসাজ করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য নির্দিষ্ট গবেষণা থেকে প্রাপ্ত এবং এর মতামতও ওই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষক-বিশেষজ্ঞের ব্যক্তিগত ৷ শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যাদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷