কলকাতা:শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে ফল ও সবজির উপর আমরা জোর দিয়ে থাকি ৷ বিভিন্ন শাকসবজি থেকে ড্রাইফ্রুট সবকিছুই শরীরের জন্য উপকারী ৷ তেমনি বিভিন্ন সবজি বা ফলের বীজও শরীরের জন্য ভালো ৷ এইরকম অনেক সবজির বীজ আমরা ফেলে দিই ৷ অথচ অনেকেই জানেন না, সেইসব বীজে থাকা উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী । কুমড়োও এমনই একটি সবজি, যার বীজ খেলে আপনি পেতে পারেন অনেক উপকার ৷
কুমড়োর বীজ বহু রোগের প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, কুমড়োর বীজ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । প্রতিদিন এক টেবিল চামচ কুমড়োর বীজ খেলে আমাদের শরীরে কী পরিবর্তন হয় জানেন ?
ওজন কমাতে:কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে । প্রতিদিন এক টেবিল চামচ পরিমাণ কুমড়ার বীজ খেলে হজমের সমস্যা কমে যায় । এছাড়াও ওজন কমাতে কুমড়োর বীজকে ডায়েটের অংশ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডায়েটেশিয়ানরা ৷ কারণ এগুলি একটু খেলে পেট ভরা থাকে । এটি অতিরিক্ত খাওয়া এড়ানো সম্ভব ৷
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:কুমড়োর বীজ ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন এবং পটাসিয়ামের মতো পুষ্টিতে পরিপূর্ণ । এটি হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করে । এছাড়াও ইমিউন সিস্টেমকেও শক্তিশালী করে শরীরকে সুস্থ রাখে ।
মানসিক চাপ কমাতে : কুমড়োর বীজে উপস্থিত ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন-ই এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে । এছাড়াও, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক মস্তিষ্কের উপর চাপ কমায় এবং উদ্বেগ প্রতিরোধ করে । নিয়মিত এক চামচ কুমড়োর বীজ খেলে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে ।
সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে: কুমড়োর বীজে রয়েছে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক গুণ । বিশেষজ্ঞরা জানান, খাবারের পর এক চামচ কুমড়োর বীজ খেলে ডায়াবেটিস রোগীরা তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন ।
কুমড়োর বীজ নিয়ে একটি গবেষণাটি 'নিউট্রিশন রিসার্চ' (Nutrition Research) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ৷ যাতে দেখা গিয়েছে, খাবারের পরে এক চা চামচ কুমড়োর বীজ খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে ৷ এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ব্রাজিলের ইউনিভার্সিডেড ফেডারেল ডি ভিসোসা ডাঃ ফ্লাভিয়া জি ক্যান্ডিডো ৷ এছাড়াও, 'National Library Of Medicine Journal'- এ প্রকাশিত জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছে ৷ কুমড়োর বীজের উপকারিতা সম্পর্কে ৷
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC10030350/
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷