হায়দরাবাদ: ওভারিয়ান সিস্ট (PCOS) অনিয়মিত পিরিয়ড এবং অতিরিক্ত পিরিয়ড দ্বারা চিহ্নিত করা হয় ৷ যা ওজনও বাড়িয়ে তোলে ৷ পিসিওএস কি সরাসরি ওজন বাড়ায় ? এর কোনও সরাসরি তথ্য পাওয়া যায়নি ৷ তবে জিনের পাশাপাশি, খাদ্য, ব্যায়াম এবং জীবনধারার মতো পরিবেশগত কারণগুলির জন্যও হতে পারে বলে মনে করা হয়। এটি অনুমান করা হয় যে প্রায় 15% মহিলা ওভারিয়ান সিস্টে ভোগেন। আর এই সম্পর্কিত লক্ষণগুলি 11 বছর বয়সে প্রকাশ পেতে শুরু করে । তবে এটি শরীরের ওজনকে যদি প্রভাবিত করে তা জানার পর নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে ৷
হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে পিসিওএস হয় ৷ তাদের মধ্যে পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোন কিছুটা বেশি নিঃসৃত হয় । এটি ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে । ফলে অনিয়মিত পিরিয়ড, ব্রণ, গোঁফ, দাড়ির মতো উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে । এগুলি ছাড়াও, বন্ধ্যাত্ব, ওজন বৃদ্ধি, ঘাড়ের ত্বকের প্রভাব, চুল পাতলা হওয়া, উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা, কোষগুলি ইনসুলিনের প্রতি সাড়া না দেওয়া (ইনসুলিন প্রতিরোধ) এবং স্টান্টিংয়ের মতো লক্ষণগুলিও দেখা দেয় ।
কেন ওজন বাড়তে পারে (Why can weight gain)?
পিসিওএস-এ ওজন বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স। এতে কোষগুলি ইনসুলিন হরমোনে সাড়া দেয় না । ফলে রক্তে গ্লুকোজ ঠিকমতো কোষে পৌঁছয় না । তখন শরীর আরও ইনসুলিন নিঃসরণ করে । গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইনসুলিন ক্রমাগত নিঃসৃত হয় । এটি পিসিওএস-এ স্থূলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ । পিসিওএস-সহ অর্ধেকেরও বেশি মানুষের ওজনও বেশি । রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস হতে পারে ৷ সাধারণত, মহিলাদের নিতম্ব, উরু ভারী হয় ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৷ তবে পিসিওএস এরফলে পেটে চর্বি জমে যায় ফলে স্থূলতা দেখা যায় ৷ তবে একবার আপনার ওজন বেড়ে গেলে ওজন কমানো কঠিন হতে পারে ৷
বর্তমানে পিসিওএস এর কোনও প্রতিকার নেই । কিন্তু এর প্রভাব কমানোর উপায় আছে ৷