কলকাতা, 29 ফেব্রুয়ারি: অভিনেতা-অভিনেত্রীদের রাজনীতিতে আসা নতুন কোনও খবর নয়। বলা বাহুল্য, এই মুহূর্তে রাজনীতিতে তাঁদের সংখ্যাই বেশি। মন্ত্রী থেকে বিধায়ক, কাউন্সিলর সব ক্ষেত্রেই রয়েছে তাঁদের নাম। সামনেই লোসসভা নির্বাচন ৷ সেখানে টলিউড থেকে নতুন কোনও মুখ দেখা যাবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠতেই অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয় ৷ তবে রাজনীতিতে আসার নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন অভিনেত্রী ৷
অভিনেত্রী রাজনীতিতে আসা প্রসঙ্গে ইটিভি ভারতকে বলেন, "না না, আমি রাজনীতিতে আসছি না। সেরকম কোনও পরিকল্পনাও নেই আমার।" যেখানে প্রথম সারির অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রাজনীতির রঙ গায়ে মেখেছেন, সেখানে সেই সবকিছু থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান টলিকুইন ঋতুপর্ণা ৷ তাই তিনি রাজনীতি নয়, বরং ব্যস্ত থাকতে চান ছবির জগতে, স্পষ্ট বার্তা অভিনেত্রীর ৷
সম্প্রতি 'সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব'-এর সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দিতে বাংলাদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল অভিনেতা তথা ঋতুপর্ণার ভালো বন্ধু ফিরদৌসের। অভিনেতা ফিরদৌস এই মুহূর্তে বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের সাংসদও। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে ফিরদৌস জানিয়েছিলেন, "ঋতুপর্ণাকে আমি প্রায় 25 বছর ধরে চিনি। খুব কাছ থেকে দেখেছি ওঁকে।"
তিনি আরও বলেন, "মানুষের পাশে সবসময় থাকে ঋতুপর্ণা। মানুষকে সেবা করতে ভালোবাসে। আমিও ঋতুপর্ণার থেকে অনেককিছু শিখেছি। ওর কাজ আমায় প্রভাবিত করেছে বরাবর। আমি চাইব মানবকল্যাণের জন্য ঋতুপর্ণা যেন রাজনীতিতে আসেন।" অর্থাৎ বন্ধুকে রাজনীতিতে দেখতে চান তিনি। তারপর থেকেই রাজনীতিতে আসা নিয়ে ঋতুপর্ণাকে নিয়ে শুরু হয় জল্পনা ৷ তবে তিনি যে রাজনীতির ময়দানে নামবেন না, তা কার্যত স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা ৷ প্রসঙ্গত, ফিরদৌসের সঙ্গে 'অকৃতজ্ঞ', 'এক কাপ চা', 'পটাদা'র কীর্তি'-সহ আরও বেশ কিছু ছবিতে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কিন্তু বন্ধুর তাঁকে ঘিরে রাজনীতিতে আসার ইচ্ছেতে জল ঢেলে দিলেন টলি-কুইন।