হায়দরাবাদ, 8 জানুয়ারি:আরজি কর নিয়ে বিতর্কের রেশ অব্যাহত ৷ তারমধ্যেই দর্শকরা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখতে পাবেন রাজন্যা হালদারের 'আগমনী: তিলোত্তমাদের গল্প' ৷ বিতর্কের বেড়াজালকে সরিয়ে দর্শক দরবারে এসেছে স্বল্পদৈঘ্যের এই ছবি ৷
গত বছরের সেপ্টেম্বরে আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ তথা রাজ্য ৷ মৃত ডাক্তারি পড়ুয়ার বিচার আজও ঝুলছে আদালতে ৷ তবে সেই আবহে স্বল্প দৈঘ্যের ছবি করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ান তৃণমূল নেত্রী তথা অভিনেত্রী রাজন্যা ও ছবির পরিচালক প্রান্তিক চক্রবর্তী ৷ জানান হয়েছিল মহালয়ার দিন নির্দিষ্ট ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে এই ছবি ৷ কিন্তু শুটিংয়ের পরেই ছবির বিষয়বস্তু ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক ৷
বুধবার সোশাল মিডিয়ায় রাজন্যা জানান, এই ছবি মুক্তি পাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ক্লিক-এ ৷ তিনি লেখেন, "সৃষ্টি এবং স্রষ্টার সম্পর্কের সমীকরণে এত ভাবাবেগ থাকতে পারে তা হয়ত প্রথম অনুভব করছি। সৃষ্টি সন্তানসম, প্রসব যন্ত্রণা অনুভূত হয়নি সঠিক কিন্তু এই যে উৎসাহ আর মাত্র কয়েক ঘন্টার তা দীর্ঘদিনের জমে থাকা যন্ত্রণার পরবর্তী আনন্দই বটে। 'কি হয় কি হয়' ভাবটা আমি জানি সকল স্রষ্টার মধ্যেই থাকে। ভোটের ফলাফল নির্ধারণের আগের রাতের মতোই ব্যাপার খানিকটা।"
আসলে আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে এই ছবি বানান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সহ-সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তী। ছবির যে পোস্টার সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, সেখানেও লেখা ছিল এই ছবি নির্মিত হয়েছে ‘আরজি কর ঘটনার পটভূমিতে’। মুখ্য চরিত্রে ডাক্তারের বেশে মাথায় মুকুট পরে পোস্টারে ধরা দেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ-সভানেত্রী রাজন্যা হালদার।
স্বল্পদৈর্ঘ্যের এই ছবিকে ঘিরে প্রথম থেকেই বিতর্কের মুখে পড়েন রাজন্যা এবং প্রান্তিক। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ থেকে সাসপেন্ড করা হয় দু’জনকেই । তারপর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে মেইল করে জানানো হয় মুক্তি পাচ্ছে না প্রান্তিক বাংলা শর্ট ফিল্ম ‘আগমনী: তিলোত্তমাদের গল্প’। সেই সময় প্রান্তিক ইটিভি ভারতকে জানিয়েছেন, বিষয়টা যেহেতু বিচারাধীন তাই এখন এই ছবি মুক্তি পাবে না ৷ এখনও তো আরজি কর ঘটনায় মৃত নির্যাতিতা বিচার পাননি তাহলে এখন কেন হঠাৎ করে ওটিটিতে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি ? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন ৷
রাজন্যা সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, "শেষবার বলছি দল-মত নির্বিশেষে দেখবেন। শর্ট ফিল্মই তো! কোনো ক্রাইম তো নয়। অনেক খেটে বানিয়েছি আমরা জানেন। তাই বলছি ক্লেশ, উষ্মা রাখবেন না। নিজেরাই যদি নিজেদের সংস্কৃতির পাশে না দাঁড়াই তবে আর কে ই বা দাঁড়াবে? সকলকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসা ঘৃণাকে জয় করে নেয়। ভালোবাসা দেবেন। ঘৃণার পৃথিবীতে এইটুকু ভালোবাসাই যথেষ্ট।" এই বিষয়ে রাজন্যাকে ফোন করা হলে ওপার থেকে অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া না গেলেও কানে ভেসে এল...'আগমনীর' সুর ৷