কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি: বড়পর্দায় মুক্তি পেল রাজর্ষি দে পরিচালিত 'সাদা রঙের পৃথিবী' ৷ শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সৌরসেনী মৈত্র, রিচা শর্মা, অরিন্দম শীল, শুভ্রজিৎ মিত্র, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবলীনা কুমার কে নেই ছবিতে ? এই ছবিতেই একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায় । ভৈরবীর চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে । ছবি মুক্তির পর তাঁর চরিত্র নিয়ে নিজের অনুভূতির কথা জানান মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিনেত্রী ইটিভি ভারতকে বলেন, "আমার জন্য তিনটে চরিত্রের অপশন দিয়েছিল রাজর্ষি । আমি এটাই বেছে নিই । আর রাজর্ষিও বলেছিল যে আমি এই চরিত্রটা করলে খুশি হবে এবং আমাকে মানাবে । আর সত্যিই আমি খুব খুশি চরিত্রটাতে নিজেকে দেখে । সাজগোজ থেকে শুরু করে চরিত্রের ভাঁজ সবেতেই আছে 'অন্যরকম'এর ছোঁয়া । খুব শক্তিশালী একটা চরিত্র । অনেক শেড আছে চরিত্রটাতে ।"
কতক্ষণ সময় লাগত মেক আপ করতে ? মল্লিকা বলেন, "চুলটা রেডি করতেই বেশি সময় লাগত । বাকিটা অত সময় নিত না ।" তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, "আমি মহাদেবের ভক্ত । উনিই আমার সব । আর বেনারস মহাদেবের জায়গা । সেই সময়ে ওখানে থাকাকালীন আমার সঙ্গে এমন এক ঘটনা ঘটেছে, যেটা শেয়ার করতেই হয় । শরীর ভারী হয়ে আসত যখন মেক আপটা করতাম । মনে হত যেন আমি আসলেও ওই ভৈরবীই । প্যাক আপ বলার পরেও বেরোতে পারতাম না চরিত্রটা থেকে । আমি মেকআপ তুলতাম না, পোশাক ছাড়তে পারতাম না কিছুতেই । প্যাকআপেরও অনেক পরে আমি নিজেকে ফ্রি করতাম । অদ্ভুত কী যেন হত আমার মধ্যে । ভাবতাম আমি যদি বাস্তবেও এরকম ভাবে জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারতাম । আমি সাংঘাতিক ঈশ্বরে বিশ্বাসী । মহাদেবই আমার সব । কিন্তু কেন ওই সময়ে আমার সঙ্গে ওরকম হত তার কোনও উত্তর আমি খুঁজে পাই না।"
ছবিতে ভৈরবী এমন একটা চরিত্র, যিনি তাঁর কাছের মানুষদের জীবনে আসন্ন ভালো-খারাপটা দেখতে পান । তাঁদের রক্ষা করেন ৷ ভৈরবীর জীবনেও আছে এক নিকষ কালো অতীত । যে কারণে বিধবা হওয়ার পর তারও ঠাঁই হয় বেনারসে । অলৌকিক ক্ষমতার জোরে সে প্রভাবশালী । তাঁকে মান্যি করেন সবাই । ফলে এই চরিত্র চিত্রনাট্যের সঙ্গে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী মল্লিকা ৷