কলকাতা, 16 সেপ্টেম্বর: একটুর জন্য প্রাণে বাঁচলেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার ৷ সোমবার আচমকাই তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে জানা গিয়েছে ৷ শুটিংয়ের ফাঁকে ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে ৷ বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী ৷
ইটিভি ভারতের তরফে মধুমিতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "প্রিন্সেপ ঘাটে আজ আমার শুটিং চলছে। একটা সিনের মাঝে অনেকটা সময় হাতে ছিল। সেই বিকেলের দিকে পরের সিন। তাই ভাবলাম ভূতনাথ মন্দিরে একটু পুজো দিই। পুজো দিতেই প্রিন্সেপ ঘাট থেকে ভূতনাথ মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলাম রেড রোড ধরে। হঠাৎই আমার গাড়িতে এসে ধাক্কা মারে পণ্যবাহী সরকারি গাড়িটি। মারার পর পালানোর চেষ্টা করে।"
ডিভোর্সী মেয়ে মানেই শ্লীলতাহানি-হয়রানির অধিকার পেয়ে যাওয়া! বিস্ফোরক মধুমিতা
অভিনেত্রী আরও বলেন, "সবথেকে অবাক লাগল দিনে দুপুরে একজন সরকারি গাড়ির চালক মদ্যপ ছিলেন। ঘটনার পরই ওই গাড়ির চালক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁকে আমার সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁরা আটকান। শেষ পর্যন্ত আমিও নেমে পড়ি গাড়ি থেকে। ভিডিয়ো রেকর্ডিং শুরু করি মোবাইলে। গাড়ির নম্বর ভিডিয়ো করি। ওঁর নাম জিজ্ঞেস করি। এর মধ্যেই পুলিশ এসে পড়েন। তারপর পুলিশই বুঝে নেন বিষয়টা। তবে, আমি প্রোডাকশনের অন্য একটি গাড়িতে করে পুজো দিতে যাই। ভাল ভাবেই পুজো দিয়েছি। সেটা নিয়ে কোনও কথা হবে না।"
এদিন গাড়ির চালকের ঠিক পিছনে বসেছিলেন মধুমিতা। হঠাৎই মধুমিতাদের গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে একটি সরকারি বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার গাড়ি। ধাক্কা যে দিকে লাগে সেই দিকেই বসেছিলেন মধুমিতা। এই দুর্ঘটনার জেরে এক প্রকার দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর গাড়ি। ঘটনাটির কথা সামাজিক মাধ্যমে জানিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, "আমার সঙ্গে মহাদেব আছেন। তাই অল্পের উপর দিয়ে গেল।”