হায়দরবাদ, 23 ফেব্রুয়ারি: তাঁকে বলা হয় বলিউডের মেরিলিন মনরো ৷ রূপোলি পর্দায় খ্যাতির শিখরে যাওয়া থেকে বারবার ভালোবাসায় মন ভাঙা, সিনে দুনিয়ায় মধুবালা আজও চর্চার বিষয় ৷ আজ তাঁর 55তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ফিরে দেখা যাক তাঁর ভালোবাসাময় ছবির দুনিয়া ও প্রেমজীবন ৷
1933 সালের 14 ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন মমতাজ জাহান দেহলভি ৷ অভাবের সংসার হওয়ায় শিশুশিল্পী হিসাবে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন সিনেপর্দায় ৷ অভিনেত্রী দেবিকা রানি মমতাজ জাহান নাম পরিবর্তন করে রাখেন মধুবালা ৷ অসাধারণ সুন্দরী ছিলেন তিনি ৷ 14 বছর বয়সে কিদার শর্মার নীল কমল ছবিতে রাজ কাপুরের বিপরীতে নায়িকা হিসাবে সামনে আসেন মধুবালা ৷ 1949 থেকে 1964 সাল পর্যন্ত মাত্র 29 বছরের অভিনয় জীবনে 70টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি ৷
অভিনেত্রী মধুবালার প্রথমে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বাদল ছবির সহ-অভিনেতা প্রেম নাথের সঙ্গে ৷ তবে সেই প্রেম স্থায়ী হয়নি বেশিদিন ৷ প্রেমনাথ ছিলেন হিন্দু আর মধুবালা ছিলেন মুসলিম ৷ তাই ছয়মাসের মধ্যে সেই সম্পর্ক শেষ হয়ে যায় ৷ এরপরেই মধুবালার জীবনে আসেন দিলীপ কুমার ৷ এক সাক্ষাৎকারে মধুবালার বোন মধুর ভূষণ জানান, সেই সময় হিন্দু-মুসলিম বিয়ে হত না ৷ তাই পরিবার সেই সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি হয়নি ৷
তিনি ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, দিলীপ কুমারকে নিয়ে পরিবারে কোনও সমস্যা ছিল না ৷ কিন্তু একটা কোর্ট কেসের জন্য মধুবালা ও দিলীপ কুমারের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয় ৷ নয়া দৌড় ছবি নিয়ে মধুবালাও পরিচালক বি আর চোপড়া আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৷ সেই লড়াইয়ে মধুবালার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছিলেন দীলিপ কুমার ৷ পরিচালক আইনি লড়াইয়ে জিতে মধুবালাকে সেই ছবি থেকে বাদ দিয়ে দেন ৷ তার বদলে নেন বৈজন্তমালাকে ৷ সেই থেকেই সমস্যা শুরু ৷
মধুবালার বাবা আতাউল্লাহ খান, মেয়ের কেরিয়ারের জন্য অনেক সংঘর্ষ করেছেন ৷ কিন্তু মেয়ের কেরিয়ারে এমন সমস্যা হওয়ায় তিনি চেয়েছিলেন ক্ষমা চাওয়া উচিত দীলিপ কুমারের ৷ কিন্তু ক্ষমা চাননি দীলিপ ৷ এমনকি, মধুবালাও নাকি অনুরোধ করেছিলেন সম্পর্কের কথা ভেবে তাঁর বাবার কাছে ক্ষমা চাইতে ৷ কিন্তু দিলীপ নিজের কথায় অবিচল থাকেন ৷ আর ভেঙে যায় এই সম্পর্ক ৷ তারপরেই মধুবালা বিয়ে করেন কিংবদন্তি গায়ক কিশোর কুমারকে ৷