পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

দু'দিনের কর্মবিরতি! কী প্রভাব দিন আনা দিন খাওয়া টেকনিশিয়ানদের জীবনে? - Technicians of Tollywood

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 1, 2024, 6:12 PM IST

Impact of suspension of work in Tollywood: লাইট, ক্যামেরা, সাউন্ড আর অ্যাকশনের শব্দে জমজমাট থাকে স্টুডিয়ো পাড়া ৷ কিন্তু সোমবার-মঙ্গলবার ছবিটা ছিল অন্যরকম ৷ ডিরেক্টর্স গিল্ড ও ফেডারেশনের দ্বন্দ্বে প্রভাব পড়ল রোজের টাকায় কাজ করা টেকনিশিয়ান কর্মীদের জীবনে ৷ শুনল ইটিভি ভারত ৷

Impact of suspension of work in Tollywood
শুটিং বন্ধ থাকলে প্রভাব পড়ে রোজনামচা জীবনে (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 1 অগস্ট: কথায় বলে, "রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।" সম্প্রতি এমনই প্রবাদ ঘটনার আকারে দেখা গেল টালিগঞ্জের স্টুডিয়ো পাড়ায় ৷ রাহুল মুখোপাধ্য়ায়কে সামনে রেখে ডিরেক্টস গিল্ড ও ফেডারেশনের যুদ্ধে টলিপাড়ায় শুটিং বন্ধ থাকল দু'দিন ৷ তারকাদের কথা বাদ দিলে যাঁদের সংসার 'দিন আনা দিন খাওয়া'-তে চলে কেমন ছিলেন তাঁরা? খোঁজ নিল ইটিভি ভারত ৷

টলিপাড়ায় শুটিং বন্ধ থাকার প্রভাব (ইটিভি ভারত)

সোমবার ও মঙ্গলবার বন্ধ ছিল কলকাতা শহরের বিভিন্ন স্টুডিয়োর দরজা। নানা দাবি দাওয়া, অভাব-অভিযোগের রশি টানাটানিতে অনিশ্চিয়তা ভুগছিলেন একাধিক টেকনিশিয়ান কর্মীরা ৷ সাউন্ড রেকর্ডিস্ট শম্ভু দাস বলেন, "আমরা দিন আনি দিন খাই। তা সে যে পরিমাণ টাকাই পাই না কেন। একদিন শুটিং বন্ধ থাকা মানেই ক্ষতি। সামনে পুজো। শুটিং যদি অনেকদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যেত তা হলে সত্যিই খুব ক্ষতি হত। এরকম ঘটনা আগেও ঘটেছে তখনও আমরা ক্ষতির মুখ দেখেছি। সবসময়ই চাই শুটিং যেন কোনও অবস্থাতেই বন্ধ না হয়।"

অভিনেতা ভরত কলের কপালেও দেখা যায় চিন্তার ভাঁজ। তিনি বলেন, " আমার এই কদিনের ক্ষতিপূরণ কে দেবে?" সহ পরিচালক রাহুল নায়ার বলেন, "আমাদের সবার পারিশ্রমিক এক নয়। এই অবস্থায় শুটিং বন্ধ হলে খুব সমস্যা হয়। আমাদের আগে কোনও নির্দিষ্ট টাকাও বরাদ্দ ছিল না। ফেডারেশন সেটার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমরা দিন-রাত পরিশ্রম করেও সেই অনুযায়ী টাকা পেতাম না। ফেডারেশন সেটার সুরাহা করেছে। এর জন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।"

দীর্ঘকাল ধরে এনটিওয়ান স্টুডিয়ো চত্বরে চা বিক্রি করছেন সৌমেন মিঞা। তিনিও রোজের টাকা হাতে পান রোজ। তিনি বলেন, "কোভিডের সময়েও অনেকদিন কাজ করতে পারিনি। এরকম আরও অনেক ঘটনার সাক্ষী আমি। কোনওটাই আনন্দ দেয়নি। কাজ না করার মধ্যে কোনও আনন্দ নেই। যন্ত্রণা আছে।" উল্লেখ্য, এদের মতোই 'নো ওয়ার্ক নো পে'র আওতায় রয়েছেন মেক আপ আর্টিস্ট, হেয়ার ড্রেসার, লাইটম্যানরা। শুটিং বন্ধ থাকা মানে তাঁদেরও ছুটি অর্থাৎ একদিনের পারিশ্রমিক বাতিলের খাতায় ৷ সাপ্তাহিক ছুটি সকলেরই প্রাপ্য কিন্তু অকারণে, অজানা কারণে ছুটি বা শুটিং বন্ধ একেবারেই কাম্য নয় টেকনিশিয়ান কর্মীদের।

ABOUT THE AUTHOR

...view details