হায়দরাবাদ, 20 জানুয়ারি: দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকছেন অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দানা ৷ তখন তিনি স্বল্পবসনা ৷ সোশাল মিডিয়ায় কয়েক সেকেন্ডের সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই পড়ে যায় শোরগোল ৷ অ্যনিম্যাল-অভিনেত্রী জানান, এই ভিডিয়ো তাঁর নয় ৷ তারপরই সামনে আসে ডিপফেকের বিষয়টি ৷ অন্য মেয়ের মুখে রশ্মিকার মুখ বসিয়ে যে ব্যক্তি ভিডিয়োটি সোশাল মিডিয়ায় দিয়েছেন, সেই অভিযুক্ত এবার পুলিশের জালে ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ভারত থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে দিল্লিতে আনা হয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ ৷ 10নভেম্বর ভারতীয় দণ্ডবিধির 465 (প্রতারণা) ধারা, 469 (উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সম্মানহানি) ধারা এবং 66সি, 66ই তথ্যপ্রযুক্তি অ্যাক্টের অধীনে অভিযোগ রুজু করা হয় ৷ দিল্লি পুলেশের স্পেশাল সেল ইলটেলিজেন্স ফিউসন অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক অপারেশনস (আইএফএসও)-এ অভিযোগ দায়ের হয় ৷ সেই মতো তদন্তে নামে পুলিশ ৷ এইআইআর দায়ের হওয়ার পরেই মেটাকে যে ইউজার থেকে ভিডিয়োটি সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে তা খুঁজে দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয় ৷ এছাড়াও মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অনান্য খোঁজ খবর নেওয়াও শুরু হয় ৷ এরপরেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে অভিযুক্ত ৷
প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে সোশাল মিডিয়ার অপব্যবহার ৷ বর্তমানে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়া রশ্মিকার আপত্তিজনক নকল ভিডিয়ো ৷ ডিপফেক প্রযুক্তির শিকার অভিনেত্রী রশ্মিকার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন ৷ প্রতিবাদে সোচ্চার হন ম্রুণাল ঠাকুর, নাগা চৈতন্য, ঈশাণ খট্টর ৷ ফেক ভিডিয়োতে দেখা যায়, রশ্মিকার মতো দেখতে একজন মহিলা দরজা খুলে প্রবেশ করছেন ৷ কিন্তু সেই মহিলা উপরের পোশাক এতটাই ছোট পরেছেন যাতে বক্ষযুগল খুব আপত্তিজনকভাবে তুলে ধরা হয়েছে ৷ সেই ভিডিয়ো নিমেষে ঘুরতে থাকে নেটপাড়ায় ৷ অল্প সময়ে এক্স প্ল্যাটফর্মে ভিডিয়োর ভিউয়ার সংখ্যা পৌঁছে যায় কয়েক মিলিয়নে ৷