কলকাতা, 7 জুলাই: এক চিকিৎসকের মৃত্যু এবং তার রহস্য সমাধান করতে গোয়েন্দা অরণ্য চট্টোপাধ্যায়ের সিআইডি তদন্ত প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়া। ক্রীড়াসাংবাদিক দুলাল দে পরিচালক হিসেবে হাতেখড়িতে শহরবাসীর সঙ্গে পরিচয় করালেন নতুন এক গোয়েন্দার ৷ মুক্তি পেয়েছে 'অরণ্য'র প্রাচীন প্রবাদ'। পরিচালক হিসাবে আত্মপ্রকাশে সিনেপ্রেমীদের কাছে কতটা পরিচিতি কুড়োতে পারলেন ক্রীড়া সাংবাদিক দুলাল দে? কেমন হল 'অরণ্য'র প্রাচীন প্রবাদ', খোঁজ নিল ইটিভি ভারত ৷
ছবির গল্প শুরু হয় অরণ্য চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে যিনি একজন ডাক্তারি পড়ুয়া ৷ আবার কলকাতা ময়দানের একটি প্রথম ডিভিশন ক্লাবের হয়ে ঘরোয়া লিগে ক্রিকেটটাও খেলেন। ডাক্তারির সেমিস্টারের পরীক্ষার চাপ ও বাড়িতে মায়ের কেরিয়ার সংক্রান্ত বিষয়ে চাপে বিরক্ত অরন্য ৷ মায়ের বকুনি এড়াতে তিনি পরিকল্পনা সাজান। অরন জামাইবাবু সিআইডি অফিসার।
তিনি পানাঘাটের এক ডাক্তার খুনের কিনারা করতে একমাসের জন্য বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে সেখানে যাচ্ছেন। মায়ের বকুনি এড়াতে জামাইবাবুর প্রশ্রয়ে অরন্য-ও কলকাতা ছাড়ার পরিকল্পনা করে ফেলেন ৷ তদন্তের লেজুড় হতে অরন্য চট্টোপাধ্যায় পানাঘাটে না গেলেও পরে দেখা যায় সমগ্র তদন্ত প্রক্রিয়াতেই অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন তিনি ৷ আর এইভাবেই বাংলা সিনেমায় আরও একটা গোয়েন্দার জন্ম হতে গেল দর্শকরা ৷ ছবিতে হাড়হিম করা থ্রিলার নেই ঠিকই। আবার একটা গল্পের টানে শেষ পর্যন্ত থেকে যেতে হয় দর্শককে।
পোস্টার আর প্রোমোশন দেখে শুধু জিতু কমলকে দেখতে গেলে ভুল হয়ে যাবে। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে গোয়েন্দা অরণ্য হিসাবে ছবিতে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন জিতু। একইভাবে পানাঘাটের সেই খুন হওয়া ডাক্তারের ভূমিকায় সুহোত্র মুখোপাধ্যায় অনবদ্য। অমিত ডাক্তার লাজুক, চোখ দুটো বড় মায়া জড়ানো চোখ। তবে যেহতু ছবির নামেই বলা আছে 'অরণ্য'র প্রাচীন প্রবাদ'। অরণ্য চট্টোপাধ্যায় প্রবাদ বলতে পছন্দ করেন, আরও কিছু প্রবাদ অরণ্য চট্টোপাধ্যায়ের মুখে থাকলে খারাপ হত না।