হায়দরাবাদ, 30 সেপ্টেম্বর: বাংলা ও হিন্দি ইন্ডাস্ট্রি মিলিয়ে প্রায় 48 বছর ধরে সিনেপর্দায় দর্শকদের হাসাতে পারেন, কাঁদাতে পারেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী ৷ পর্দার বাইরে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে সকলের 'দাদা' ৷ অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে টেকনিশিয়ান, সকলকে যেন এক সুতোয় বেঁধে রাখেন তিনি ৷ তবে বর্তমান টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে যখন হাজারো অভিযোগে উঠে আসছে তখন নেপথ্যের কারণ বিশ্লেষণ করলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী ৷
মিঠুন বলেন, "খুব দুঃখের ব্যাপার এই যে বিনোদন জগতে রাজনীতি যুক্ত হয়ে গিয়েছে ৷ আমি 30 বছর মজদুর ইউনিয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলাম ৷ সেই ইউনিয়ন আমিই তৈরি করেছিলাম ৷ মাত্র 7 হাজার টাকা দিয়ে তৈরি সেই ইউনিয়নে এখন 30 কোটি টাকা রয়েছে ৷ একটা বিষয় জানাই সকলকে ৷ টিভি চ্যানেলের এক রিলেলিটি শোতে একটা ছেলে ও দুই মেয়ে এসেছিল ৷ তাঁদের আর্থিক সঙ্গতি ছিল না ৷ ফলে ইউনিয়নের তরফে তাঁদের বিয়ের খরচ থেকে শুরু করে পড়াশোনার ভার নেওয়া হয় ৷"
সাংবাদিক সম্মেলনে মিঠুন আরও বলেন, " আমি কোনওদিন ইউনিয়নের মধ্যে রাজনীতি আসতে দেয়নি ৷ তখন চিত্রপট শাখা নামে বালাসাহেব ঠাকরের একটা ইউনিয়ন ছিল ৷ তিনি আমাকে ছেলের মতো ভালোবাসতেন ৷ যদি কোনও সমস্যা হত আমি ওনাকে সরাসরি বলতাম ৷ তখন উনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে দিতেন, আমাদের ইউনিয়ন আমরা দেখব, ওনাদের ইউনিয়নের কেউ মাথা গলাবেন না ৷এখনও পর্যন্ত সেই ইউনিয়নে কোনও রাজনীতি ঢোকেনি ৷ "
মহাগুরু আরও বলেন, "এক্ষেত্রে টলিউড তার বিপরীত ৷ কেন এখানকার টেকনিশিয়ানরা জাগেন না ৷ ইউনিয়নে রাজনীতি ঢুকে গেলে তার স্বার্থ আগে আসে তারপর একজন টেকনিশিয়ানের স্বার্থ নজরে আনা হয় ৷ আজকের এই পরিস্থিতি বিকজ অফ ফ্রাস্টেশন ৷ আমাদের ওখানে এই রকম হয় না ৷ কেউ বলে না চাকরি পাচ্ছেন না ৷ সকলের জন্য কাজ আছে ৷ এমনকী, আমি কখনও ইউনিয়নকে স্ট্রাইক ডাকতে দিইনি ৷ আমি বলে দিতাম, যদি তোমরা বনধ্ ডাকো আমি ইউনিয়ন ছেড়ে দেব ৷ বারবার বলতাম কখনও কাজ বন্ধ করবে না ৷এত প্রোগেসিভ ওয়েতে কাজ করেছি সেখানে ৷ আমি অ্যাকটর্স ইউনিয়নেরও প্রেসিডেন্ট ছিলাম ৷ দু'টোই সমানভাবে চালিয়েছি ৷ তাই ইউনিয়নের মধ্য থেকে যতক্ষণ না রাজনীতি যাচ্ছে কিছু ঠিক হবে না ৷