নয়াদিল্লি, 4 অগস্ট: রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি কেমন তা জানতে সরকারের থেকে আগেই শ্বেতপত্র চেয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ এবার তিনি জানিয়ে দিলেন, সরকার রিপোর্ট না দিলে তা কী করে আদায় করতে হয় তা তাঁর জানা আছে ৷ সংবাদসংস্থা এএনআই'কে রবিবার তিনি জানান, রাজ্যপাল হিসেবে সরকার থেকে কিছু জানতে চওয়ার অধিকার তাঁর কাছে ৷ সাংবিধান অনুসারে মুখ্য়মন্ত্রীও সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য ৷ কিন্তু সরকার যদি শ্বেতপত্র না দেয় তাহলে কী করে আদায় করতে হবে তা তিনি জানেন ৷
সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেন, "সংবিধান অনুসারে রাজ্যের কাজকর্ম খতিয়ে দেখার দায়িত্ব রাজ্যপালের ৷ আর তাতেই আর্থিক ক্ষেত্রে আমি বেশ কিছু ত্রুটি খুঁজে পেয়েছি ৷ সিএজি থেকে শুরু করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও এমনটাই মনে করে ৷ আমার বলতে খারাপ লাগছে কিন্তু এটা সত্যি যে বাংলার আর্থিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে ৷ কোনও এক বিশেষ কাজের জন্য় আসা ফান্ড অন্যত্র ব্যবহৃত হচ্ছে ৷"
এর পাশাপাশি সরকারের খরচ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ৷ তিনি মনে করেন, সরকার এমন কিছু বিলাসিতা করে যা বন্ধ করা যেতে পারে ৷ রাজ্য়র আর্থিক পরিস্থিতি ভালো নয় বলেই তিনি শ্বেতপত্র চেয়েছেন বলে তিনি জানান ৷ আর এই প্রশ্নে যে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সংঘাত তৈরি হয়েছে তাও স্পষ্ট হয়েছে রাজ্যপালের কথা থেকে ৷ তিনি বলেন, "সরকারের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন করার অধিকার আমায় সংবিধান দিয়েছে ৷ আর মুখ্য়মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসন সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য ৷ কিন্তু তাও রাজ্য সরকার যদি শ্বেতপত্র না দেয় তাহলে সেটা কী করে আদায় করতে হবে তা আমি জানি ৷"
রাজভবন আর নবান্নের সম্পর্ক যে ভালো নয় তা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তাঁর মানহানি হয়েছে দাবি করে মামলা পর্যন্ত করেছেন রাজ্যপাল বোস ৷ আবার মমতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের সমস্ত স্তরের নেতারা একাধিকবার আক্রমণ করেছেন রাজভবনের বাসিন্দাকে ৷ কখনও কখনও তা শালীনতার মাত্রাও ছাড়িয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপির মতো বিরোধী দল ৷ এবার রাজ্যপালের মন্তব্য যে নতুন করে দু'পক্ষের মধ্যে থাকা শীতলতা আরও বাড়িয়ে দেবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ৷