অযোধ্যা, 22 জানুয়ারি:অওধ শহরের ভগবান শ্রীরামকে নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত । এই গল্পের মধ্যে এমন অনেক চরিত্র পাওয়া যায়, যা রামের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত । আজ আমরা ভগবান শ্রীরামের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত এমনই এক চরিত্রের কথা বলব আপনাদের ৷ যিনি ভগবান শ্রীরামের সঙ্গে 14 বছর বনবাসেই কাটিয়েছিলেন । আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন তিনি হবেন লক্ষ্মণ, ভরত বা মাতা সীতা। না তাঁরা নন, এই মানুষগুলি ছাড়াও আর একটি শ্রেণির মানুষ ছিল যারা 14 বছর ধরে ভগবান রামের জন্য তপস্যা করেছিলেন । শুনলে অবাক হবেন কিন্তু এটাই সত্যি । এই তপস্যা কোনও ঋষি, মহাত্মা বা সাধকেরা করেননি ৷ বরং করেছিলেন অযোধ্যার রূপান্তরকামীরা ৷ তাঁরা কলিযুগে শাসন করার জন্য স্বয়ং ভগবান শ্রীরামের আশীর্বাদ পেয়েছিলেন ।
রূপান্তরকামীরা স্বর্গ থেকে এসেছেন অযোধ্যায়
অযোধ্যা রূপান্তরকামীদের পীঠস্থান। রূপান্তরকামী সম্প্রদায় দাবি করে, রাজা দশরথের বাড়িতে রামলালার জন্মের পরই রূপান্তরকামীরা স্বর্গ থেকে অবতীর্ণ হয়েছিলেন । রূপান্তরকামীদের জন্ম হয়নি কিন্তু তাঁদের মর্তে আনা হয়েছিল । ভগবান শিবের অর্ধনারীশ্বর রূপই রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের রূপ । অযোধ্যার রূপান্তরকামী সম্প্রদায় বলে, রাম যখন বনে যাচ্ছিলেন তখন তিনি নর-নারীকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন । তিনি রূপান্তরকামীদের নাম নেননি, তাই রূপান্তরকামীদের সেখানে থেকে যায় এবং রূপান্তরকামীদের পূর্বপুরুষরা 14 বছর ধরে রামের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন ৷
তমসা নদীর তীরে যান অযোধ্যাবাসী
অযোধ্যার রূপান্তরকামী সিংহাসনে অধিষ্ঠিত পিঙ্কি মিশ্র বলেন, "ভগবান রাম যখন বনবাসের জন্য অযোধ্যা ত্যাগ করছিলেন, তখন সমগ্র অযোধ্যার মানুষ তাঁর সঙ্গে তমসা নদীর তির পর্যন্ত গিয়েছিলেন । নারী-পুরুষ, রূপান্তরকামী, পশু-পাখি সবাই শ্রীরামকে দেখতে এসেছিলেন । তমসা নদী তীর ভারত কুন্ডের কাছে অবস্থিত । সেখানে ভগবান রাম বলেছিলেন, অযোধ্যার পুরুষ এবং মহিলা নির্বিশেষে সকলেই ফিরে যান । সকলের সঙ্গে 14 বছর পর দেখা হবে । এই কথা বলে রাম নৌকায় বসে তমসা নদীর পেরিয়ে যান । আমাদের পূর্বপুরুষরা বলেছিলেন, ভগবান পুরুষ ও মহিলাদের অযোধ্যায় ফিরে যেতে বলেছেন । কিন্তু রূপান্তরকামীদের ফিরে যেতে বলা হয়নি । আমরা পুরুষ বা মহিলা নই । এর অর্থ হল প্রভু আমাদের ফিরে যেতে আদেশ দেননি ।"