নয়াদিল্লি, 27 অগস্ট: আবগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা ৷ মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে এই তাঁর জামিনের মামলার শুনানি ছিল ৷ দুই বিচারপতির বেঞ্চ তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতার জামিন মঞ্জুর করে ৷ তবে বিআরএস নেত্রীকে তাঁর পাসপোর্স আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত ৷
এর আগে 1 জুলাই দিল্লি হাইকোর্ট কে কবিতার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল ৷ আদালত জানিয়েছিল, প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী 2020-21 সালের দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত কে কবিতা ৷ এদিন সেই রায় নাকচ করে সুপ্রিম কোর্ট ৷
এদিন সুপ্রিম কোর্ট দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআইকে প্রশ্ন করে, বিআরএস নেত্রী কে কবিতা যে দিল্লির আবগারি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, সেই সংক্রান্ত কী নথি আছে তাদের কাছে ? দিল্লির আবগারি দুর্নীতি এবং তার সঙ্গে জড়িত আর্থিক নয়ছয়ের তদন্ত করছে যথাক্রমে সিবিআই ও ইডি ৷ 9 অগস্ট এই মামলায় দেশের শীর্ষ আদালতে জামিন পেয়েছেন আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া ৷
এদিন কে কবিতার পক্ষে আইনজীবী মুকুল রোহতাগি আদালতে জানান, দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পূর্ণ করে ফেলেছে ৷ দিল্লি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের বিষয়টিও আদালতে উল্লেখ করেন আইনজীবী মুকুল রোহতাগি ৷
অন্যদিকে সিবিআই ও ইডি-র তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু আদালতে দাবি করেন, কবিতা তাঁর মোবাইল ফোনটি নষ্ট করেছেন ৷ তিনি তথ্য প্রমাণ নষ্ট করেছেন ৷ কিন্তু কে কবিতার আইনজীবী রোহতাগি এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন ৷ গত 15 মার্চ হায়দরাবাদের বানজারা হিলসে তাঁর বাড়ি থেকে কে কবিতাকে গ্রেফতার করে ইডি ৷ এরপর তাঁর ঠাঁই হয় তিহাড় জেলে ৷ সেখান থেকে 11 এপ্রিল তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷