পুরী, 6 জুলাই: রথযাত্রার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে ৷ রবিবার জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে নিয়ে রথ যাবে মাসির বাড়ি ৷ দেশ এমনকী বিদেশ থেকে এই রথযাত্রা দেখতে পুরীতে ভিড় জমিয়েছেন মানুষ ৷ বোন সুভদ্রাকে নিয়ে ভগবান জগন্নাথ, ভগবান বলভদ্র জগন্নাথ মন্দির থেকে তিনটি বিশাল রথে চড়ে যাত্রা শুরু করে পৌঁছবেন গুন্ডিচা মন্দিরে ৷ কীভাবে হয় এই রথযাত্রা ?
এই রথযাত্রার ইতিহাস কয়েকশো বছরের পুরনো ৷ হিন্দু পুরাণ অনুসারে ভগবান বিষ্ণুর অবতার ভগবান জগন্নাথ ৷ প্রতি বছর তিনি তাঁর বাসস্থান জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে যান ৷ এর আধ্যাত্মিক গুরুত্ব অপরিসীম বলেই মনে করা হয় ৷ উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয় কয়েক মাস আগে থাকতে ৷ কয়েকশো দক্ষ শিল্পী ভগবান জগন্নাথের জন্য কাঠের রথ তৈরি করেন ৷
জগন্নাথের সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করেন ভাস্কর মিশ্র ৷ তিনি বলেন, "প্রতি বছর হিন্দু ক্যালেন্ডারের আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয় দিনে জগন্নাথ মন্দিরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসবটি হয় ৷ তিনজন দেবতা 9 দিনের জন্য 3 কিমি দূরে তাঁদের জন্মস্থান, গুন্ডিচা মন্দিরে যান ৷"
স্নান যাত্রায় চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী ভগবান জগন্নাথ, ভগবান বলভদ্র এবং দেবী সুভদ্রাকে 108টি কলসি ভর্তি সুগন্ধী জলে স্নান করানোর পর তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ এরপর 15 দিন অন্তরালে থাকেন দুই দেবতা এবং তাঁদের বোন দেবী সুভদ্রা ৷ এই সময় মন্দিরে তাঁদের দর্শন বন্ধ থাকে ৷ শুধুমাত্র যাঁরা সেবা করেন, তাঁদের বিশেষ একটা দলই দেব-দেবীদের উদ্দেশ্যে কিছু গোপন আচার, রীতি পালন করেন ৷ এরপর রথযাত্রার আগের দিন ফের দেবতাদের দর্শন পাওয়া যায় ৷ একে নব যৌবন দর্শন বলে ৷ তবে এবছর নব যৌবন দর্শন এবং রথযাত্রা একই দিনে পড়েছে ৷ আগামিকাল, 7 ও 8 জুলাই- দু'দিন ধরে রথযাত্রা পালিত হবে ওড়িশায় ৷