ভুবনেশ্বর, 30 মে:পুরীতে ভগবান জগন্নাথ দেবের চন্দনযাত্রা উৎসবে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ৷ আতশবাজি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের ৷ আহত হয়েছেন কমপক্ষে 30 জন ৷ এই ঘটনায় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের পাশাপাশি শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, "ভগবান জগন্নাথ দেবেরর চন্দনযাত্রা অনুষ্ঠানের সময় পুরীতে আতশবাজির বিস্ফোরণের ঘটনা সম্পর্কে জেনে দুঃখিত ৷ এই দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন । তাঁদের দ্রুত এবং সম্পূর্ণ সুস্থতার জন্য প্রভুর কাছে প্রার্থনা করছি । এই দুঃসময়ে ওড়িশা সরকারের পাশে রয়েছি আমরা ।"
পুরীতে চন্দনযাত্রা উৎসবে আতসবাজি বিস্ফোরণ (ইটিভি ভারত) পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার পুরীতে চন্দনযাত্রা উৎসবের সময় ৷ চন্দনযাত্রার অংশ হিসাবে নরেন্দ্র পুকুরে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার 'চাপা খেলা' চলছিল ৷ পুজো উপলক্ষে দেবী ঘাটের পাশে পুকুরে আতশবাজি ফাটানোরও ব্যবস্থা ছিল । সেসময় আতশবাজি বিস্ফোরণ ঘটে ৷ স্ফুলিঙ্গ এসে পরে 'চাপা খেলা' দেখতে আসা পুণ্যার্থীদের উপর ৷ তাতেই পুকুরে চারপাশে জড়ো হওয়া পুণ্যার্থীদের মধ্যে অনেকে ঝলসে যান।
আহতদের সবাইকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভরতি করা হয় । তবে তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে । প্রাথমিকভাবে রোগীদের আউটডোর বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে সার্জারি ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। তবে হাসপাতালে বার্ন ইউনিটের অভাব রয়েছে বলে আহতদের পরিবারের অভিযোগ ।
কান্নাকাটির ভিড়ের মধ্যে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, প্রায় ছ'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক । একটি শিশুর হাত পুড়ে গিয়েছে । অন্য এক স্থানীয় বলেন, "অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না ঘটনাস্থলে । আমরা পুকুর থেকে কয়েকজনকে উদ্ধার করেছি ।" স্থানীয়দের অভিযোগ, চিকিৎসকের অভাবের কারণে জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কটক ও ভুবনেশ্বরের কয়েকটি হাসপাতালে আহতদের অনত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে । জানা গিয়েছে, 18 জনেরও বেশি গুরুতর জখম রোগীকে কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । পুরীর এসপি ও কালেক্টর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন ।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন । নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, "পুরী নরেন্দ্র পুকুরের কাছে দুর্ঘটনার খবর শুনে আমি মর্মাহত। মুখ্যসচিব এবং জেলা প্রশাসনকে আহতদের যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া নিশ্চিত করতে এবং তাদের চিকিৎসার তদারকি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আহতদের সমস্ত চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন করা হবে । সকলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি ।"