নয়াদিল্লি, 26 জুলাই: মোদি সরকারের আনা পাবলিক পলিসি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক নীতি আয়োগ বাতিল করে যোজনা কমিশনকে ফিরিয়ে আনা উচিত । শুক্রবার দিল্লিতে ফের এই দাবিতে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লকের অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রী না-যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও সেই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ৷ ফলে সেই বৈঠকের ঠিক আগের দিন তাঁর এই দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ৷ বৈঠকে যোগ দেওয়ার পেছনে তাঁর যুক্তি, সাধারণ একটি প্ল্যাটফর্মে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর উত্থাপন করা উচিত বলে তিনি অনুভব করেছেন বলেই বৈঠকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷
তাঁর কথায়, "তারা (বিজেপি) সরকার গঠন করেছে, কিন্তু তাদের কাছে জনগণের ম্যান্ডেট নেই । 2014 সাল থেকে বিজেপি আসার পর এই প্রথম তারা একক দল হিসেবে সরকার গঠন করেনি ।" মমতার অভিযোগ, বিজেপি শাসিত এনডিএ একটি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট বাজেট এনেছে যা সমস্ত বিরোধী রাজ্যকে বঞ্চিত করে ৷
মমতার কথায়, "আমি ভেবেছিলাম অন্তত একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মে এই আওয়াজটি তোলা আমার কর্তব্য ৷ যদিও আমি জানি নীতি আয়োগের আর্থিক ক্ষমতা নেই ৷ নীতি আয়োগকে আমি একটিও কাজ করতে দেখিনি কারণ তাদের কোনও ক্ষমতা নেই । আগে পরিকল্পনা কমিশন ছিল । একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে... সেই সময়ে আমি দেখেছিলাম সেখানে একটি ব্যবস্থা ছিল ৷"
মমতার মতে, রাজ্য সরকারগুলির যোজনা কমিশনের অধীনে নিজেদের সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করার ক্ষমতা ছিল এবং এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে খুব ভালো ছিল । কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর ।
সেই কারণে নীতি আয়োগ বাতিল করার পক্ষে সরব হয়ে তিনি বলেন, "আমি আমার আওয়াজ তুলব যে, এই নীতি আয়োগ বন্ধ হোক । তাদের কোনও আর্থিক প্রভাব নেই । তারা কিছুই করতে পারে না, শুধু মুখ দেখানোর জন্য বছরে একবার বৈঠক করে । অনুগ্রহ করে পরিকল্পনা কমিশনকে আবার ফিরিয়ে আনুন ৷ এটি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর একটি পরিকল্পনা ছিল এবং স্বাধীনতার পর থেকে যোজনা কমিশন দেশের জন্য অনেক কাজ করেছে ৷"
27 জুলাই নীতি আয়োগের নবম গভর্নিং কাউন্সিলের সভা যা 2047 সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত জাতি হিসাবে গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করবে । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নীতি আয়োগের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন ৷ ইন্ডিয়া ব্লকের বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে, তারা কেন্দ্রীয় বাজেটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ এই বৈঠক বয়কট করবেন ৷ সেই তালিকায় রয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ডিএমকে-র এমকে স্টালিন, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিআইএম নেতা পিনারাই বিজয়ন, আম আদমি পার্টির পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং তিন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী কর্ণাটকের সিদ্দারামাইয়া, হিমাচলপ্রদেশের সুখবিন্দর সিং সুখু এবং তেলেঙ্গানার রেভান্থ রেড্ডি ৷