নয়াদিল্লি, 8 জুলাই: "নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তিকে বাঁচাতে এত কেন উদ্বিগ্ন রাজ্য় ?" সন্দেশখালির ঘটনায় ভর্ৎসনার সুরে রাজ্য সরকারকে এমনই প্রশ্ন করলেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি বিআর গাভাই এবং কেভি বিশ্বনাথন ৷ নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ ও জমি দখলের অভিযোগে হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত ৷ সম্প্রতি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ৷ সোমবার সেই আবেদনকে প্রত্যাখান করল শীর্ষ আদালত ৷
গত 10 এপ্রিল সন্দেশখালিতে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং জমি দখলের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেই রায়কে চ্যালঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার ৷ এদিন সেই মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য়কে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ রাজ্যের পক্ষে এদিন উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী এএম সিংভি ৷
শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, বিগত কয়েক মাস ধরে এই ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি রাজ্য ৷ এমনকি কোনও ব্যক্তিকও গ্রেফতার করা হয়নি ৷ আদালতের প্রশ্ন, যদি 4 বছর আগে এফআইআর দায়ের করা হয়, তবে কবে গ্রেফতার করা হয়? ঘটনায় 42টি চার্জশিট জমা হয়েছে ৷ তাহলে কোনও ব্যক্তিকে কেন রাজ্য সরকার বাঁচানোর চেষ্টা করছে ? এরপরই আগের শুনানির প্রসঙ্গ তুলে দুই বিচারপতি মনে করিয়ে দেন, সেদিন রাজ্যের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবী বলেছিলেন, শীর্ষ আদালত এই নির্দিষ্ট প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার পরে বিষয়টি স্থগিত করা হবে । সেইসঙ্গে ধন্যবাদ জানিয়ে মামলা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ ৷
গত 29 এপ্রিল এই মামলার শুনানিতেও একই প্রশ্ন তুলেছিল শীর্ষ আদালত ৷ জবাবে রাজ্য সরকারের তরফে জানান হয়, হাইকোর্টের নির্দেশ রাজ্যের আইনি ব্যবস্থা তথা পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, ইডি-র আধিকারিকদের উপর হামলার মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে সিবিআই ৷ সেইসঙ্গে সেদিনের ঘটনায় 3টি এফআইআর-ও দায়ের করে সিবিআই ৷ ইতিমধ্য়ে ঘটনার মূল অভিযুক্ত তথা তৃণমূলের স্থানীয় নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারও করা হয়েছে ৷