নয়াদিল্লি, 17 জুন: সংশোধিত দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে বাবরি মসজিদের নাম উল্লেখ করা হয়নি ৷ বদলে তাকে 'তিন গম্বুজ কাঠামো' বলে অভিহিত করা হয়েছে ৷ এনিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এনসিইআরটি-র অধিকর্তা দীনেশ প্রসাদ সাকলানি এই পরিবর্তনকে ন্যায্য বলে দাবি করলেন ৷
তিনি বলেছেন, "গুজরাত দাঙ্গা এবং বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মতো শব্দের উল্লেখগুলি সংশোধন করা হয়েছে ৷ কারণ, এর মাধ্যমে দাঙ্গা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছিল ৷ আমরা হিংস্র এবং হতাশাগ্রস্ত নাগরিক সমাজ তৈরি করতে পারি না ৷"
সংশোধিত পাঠ্যপুস্তকে, এনসিইআরটি ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার অংশটিকে দুই-চারপাতা থেকে ছেঁটে দিয়েছে ৷ সেই সঙ্গে আগের সংস্করণগুলিতে থাকা এই সম্পর্কে বিশদ বিবরণও বাদ দিয়েছে ৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দীনেশ প্রসাদ সাকলানি বলেছেন, "পাঠ্যপুস্তকে যে বদলগুলি এসেছে, তা বার্ষিক সংশোধনের অংশ ৷ এনিয়ে এত হইচই বা হা-হুতাশ করার কোনও কারণ নেই ৷"
সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী তিনি বলেন, "কেন আমরা স্কুলের পাঠ্যবইতে দাঙ্গা সম্পর্কে শিক্ষা দেব ? আমরা দেশে ইতিবাচক মানসিকতার নাগরিক তৈরি করতে চাই ৷ আমরা চাই না ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিংস্র ও অবসাদগ্রস্ত নাগরিক তৈরি হোক ৷ আমাদের শিক্ষার্থীদের কি এমন কোনও শিক্ষা দেওয়া উচিত, যাতে তারা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, সমাজে ঘৃণা সৃষ্টি করে বা ঘৃণার শিকার হয় ? আমরা কি ছোট্ট শিশুদের দাঙ্গা সম্পর্কে শিক্ষা দেব... তাঁরা যখন বড় হবে, তখন নিজেরা জানবে সেই বিষয়ে ৷ কেন স্কুলের পাঠ্যবইতে এগুলি থাকবে ? তারা যখন বড় হবে, তখন তাদের বুঝতে হবে, কী হয়েছিল এবং কেন সেটা ঘটেছিল ? এটা নিয়ে এত হইচই বা হা-হুতাশ করার মতো কিছুই ঘটেনি ৷"
উল্লেখ্য, দ্বাদশ শ্রেণির সংশোধিত পাঠ্যবইয়ের 2-4 পাতায় বাবরি মসজিদের প্রসঙ্গ পুরোপুরি ছেঁটে ফেলা হয়েছে ৷ বাবরি মসজিদ নামের বদলে সেখানে 'তিন গম্বুজ কাঠামো' উল্লেখ করেছে এনসিইআরটির ৷ আগের সিলেবাসে থাকা অযোধ্যা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে ৷ তার বদলে ওই অংশে বাবরি মসজিদ ধ্বংস নিয়ে পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে ৷