পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

5 মিনিটের বেশি বলতে না দেওয়ার অভিযোগ, নীতি আয়োগের বৈঠক ছাড়লেন মমতা - Mamata Banerjee

Mamata Banerjee: শনিবার নয়াদিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক ছিল । সেই বৈঠক ছেড়ে মাঝপথে বেরিয়ে আসেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর অভিযোগ, পাঁচ মিনিটের বেশি বলার সুযোগ না-পাওয়ায় তিনি বৈঠক বয়কট করেছেন ।

Mamata Banerjee
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ফাইল চিত্র)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 27, 2024, 1:06 PM IST

Updated : Jul 27, 2024, 5:11 PM IST

নয়াদিল্লি, 27 জুলাই: নীতি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে মাঝপথে বেরিয়ে এলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বাইরে এসে তিনি ক্ষোভও প্রকাশ করেন যে, তাঁকে 5 মিনিটের বেশি বলতে দেওয়া হয়নি ৷ যেখানে এই বৈঠকে উপস্থিত বিজেপি-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বক্তব্য বলতে অনেক বেশি সময় বরাদ্দ করা হয়েছিল ৷ এদিকে বাংলা নিয়ে বঞ্চনার কথা বলতেই তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷

নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (ইটিভি ভারত)

নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে অভিযোগ

বাইরে এসে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ তিনি বলেন, "আমি বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে এসেছি । চন্দ্রবাবু নাইডুকে (অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী) কথা বলার জন্য 20 মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল ৷ অসম (হিমন্ত বিশ্বশর্মা), গোয়া (প্রমোদ সাওয়ান্ত), ছত্তিশগড়ের (বিষ্ণু দেও সাই) মুখ্যমন্ত্রীরা 10-12 মিনিট কথা বলেছিলেন । মাত্র পাঁচ মিনিট পরে আমাকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷’’

নীতি আয়োগের বৈঠক একাধিক অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা বয়কট করেছেন ৷ বিরোধী 'ইন্ডিয়া' শিবিরের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেনের যাওয়ার কথা ছিল ৷ তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, "আমি বৃহত্তর স্বার্থে এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলাম ৷ তাঁদের খুশি হওয়ার কথা ৷ যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত ৷ এমনকী বাজেটকেও শক্তিশালী করা উচিত ৷ রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বাজেট হয়েছে ৷ আমি বললাম কেন আপনারা অন্য রাজ্যের সঙ্গে বৈষম্য করছেন ৷’’

বিজেপির নেতৃত্বে গঠিত তৃতীয় এনডিএ সরকারের এই বৈঠকে কেন্দ্রকে কড়া আক্রমণ করেন মমতা ৷ তিনি বলেন, "আপনারা রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট ৷ সবাইকে প্রয়োজনীয় মনোযোগ দিচ্ছেন না ৷ এমনকী বাজেটটাও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বাজেট ৷ আমি বললাম, আপনারা বৈষম্য করেছেন ৷ আপনাদের পর্যালোচনা করা উচিত ৷"

বাংলার বঞ্চনা নিয়ে বলতে গিয়েই তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতার কথায়, "আপনারা বাজেটে আমাদের বঞ্চনা করেছেন ৷ আপনারা বাংলার উন্নয়নের সমস্ত বাজেট বন্ধ করে দিয়েছেন ৷ আপনারা বিরোধী দলকে কোনও সুযোগ দেন না ৷ 3 বছর ধরে একশোদিনের কাজ বন্ধ ৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, গ্রামীণ সড়ক যোজনা বন্ধ ৷ এমনকী খাবারের ভরতুকি পর্যন্ত দেননি ৷ গত বছর পর্যন্ত আমরা 1 লক্ষ 71 হাজার কোটি টাকা পাই ৷ এই বাজেটেও কিছুই পাইনি ৷ এইটুকু বলার সঙ্গে সঙ্গেই আমার মাইকটা বন্ধ করে দিয়েছে ৷"

এর প্রতিবাদে বৈঠক মমতা বলেন, "আমি বললাম, আপনারা কেন এই বৈষম্য করছেন ? কেন বন্ধ করে দিচ্ছেন ? বিরোধীদের তরফে আমিই একমাত্র এই বৈঠকে যোগ দিয়েছি ৷ আপনাদের খুশি হওয়া উচিত ৷ তার বদলে আপনারা আপনাদের দলকে আরও বেশি সুযোগ দিচ্ছেন ৷ আপনি আমার মাইক বন্ধ করে দিচ্ছেন ? আপনাদের এই বঞ্চনা আমি মানি না ৷ তাই মনে রাখবেন আমি চললাম ৷"

শনিবার নয়াদিল্লিতে বসেছিল নীতি আয়োগের বৈঠক ৷ সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন ৷ কেন্দ্রীয় আমলা ও নীতি আয়োগের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন । বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন দেশের সব রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীরা । তবে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীরা বৈঠক বয়কট করেন । এছাড়াও ‘ইন্ডিয়া’র বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী অনুপস্থিত ছিলেন ৷

যদিও ‘ইন্ডিয়া’র অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের মতো নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কটের রাস্তায় হাঁটেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি শুক্রবার দুপুরেই দিল্লিতে পৌঁছান ৷ তার পর শনিবার নির্ধারিত সময় বৈঠক স্থলে চলে যান ৷ কিন্তু কিছুক্ষণ পর তিনি বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘‘এটা অন্যায় । বিরোধী পক্ষ থেকে শুধুমাত্র আমি এখানে প্রতিনিধিত্ব করেছি এবং সাংবিধানিক কাঠামোয় পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলাম ৷’’

নীতি আয়োগের ক্ষমতা নিয়েও মমতা এদিন সরব হন ৷ তিনি বলেন, ‘‘নীতি আয়োগের কোনও ক্ষমতা নেই ৷ এটা কীভাবে কাজ করবে ? এটাকে আর্থিক ক্ষমতা দিন, না হলে যোজনা কমিশন ফিরিয়ে আনুন ?’’

Last Updated : Jul 27, 2024, 5:11 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details