জলন্ধর, 28 অগস্ট: সর্বস্ব হারিয়ে পরাজিত রাজা সলমন গুহার অন্ধকারে এক মাছিকে দেখে আলোর সন্ধান পেয়েছিলেন । পাথুরে দেওয়াল বেয়ে যাওয়ার সময় বারবার পড়ে যাওয়া মাছি হার মানছে না দেখে সলমন ঠিক করলেন জীবন-যুদ্ধে পরাজয় থাকলেও পলায়ন নেই । রাজা আবার ফিরলেন যুদ্ধের ময়দানে । জিতলেন এবং ফিরে পেলেন সব ।
হার না মেনে লেগে থাকার মানসিকতা বারবার পরাজয়ের সরণিতে আলোর মৃগয়াভূমি হয়ে থেকে গিয়েছে । এবার পঞ্জাবের জলন্ধরে এমনই এক মানুষের খোঁজ মিলল। 50 বছর ধরে লটারি টিকিট কেটে চলেছেন প্রীতম জগ্গি । সাফল্য না মিললেও হতাশ হননি। পাঁচ দশক বাদে পেলেন পুরস্কার । ঘরে এল আড়াই কোটি। এবারে খরচ বলতে 500 টাকা। সেই টাকাই ফিরল আড়াই কোটি হয়ে। সংবাদপত্র থেকে লটারি জেতার কথা জেনেছিলেন । মানতে পারেননি । পাঁচ দশক পর ভাগ্যদেবী এভাবে হেসে উঠবেন তা বিশ্বাস করা মুখের কথা নয়। তবে লটারি সংস্থার ফোন পেয়ে বিশ্বাস হয় ।
50 বছর ধরে লটারি দোকানে যাতায়াত
ভাঙাচোরা জিনিসপত্র কেনাবেচার কাজ করেন প্রীতম । লটারির টিকিট কেনা তাঁর নেশা । 50 বছর ধরে নিয়মিত লটারির দোকানে ভিড় জমান । গত সপ্তাহে স্থানীয় সেবক রোড এলাকা থেকে 500 টাকা খরচ করে টিকিট কেনেন প্রীতম । এরপর রবিবারের সংবাদপত্রে দেখতে পান তিনি লটারি জিতেছেন । এত বছরের অপেক্ষা দাম পেল জাগ্গি পরিবার ।
1 টাকা দিয়ে শুরু, শেষ কোথায়?
প্রথম লটারি কিনেছিলেন 1 টাকা দিয়ে। তারপর বাড়তে থাকে লটারির প্রতি ঝোঁক । রোজগারের একটা বড় অংশই খরচ হতে থাকে । বারবার ব্যর্থতা আসে । তবু টিকিট কেনা আর খবরের কাগজ হাতে নিয়ে নম্বর মেলানোর নেশা কখনও তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করেনি । এবার অবশ্য খানিকটা আলাদা পরিস্থিতি ছিল জাগ্গি পরিবারে । স্ত্রী অনীতা স্বামীকে বলে দিয়েছিলেন এটাই শেষবার। কষ্টের টাকা এভাবে আর নষ্ট করা চলবে না । তবে এখন অবশ্য সব বদলেছে । প্রতীম বদলাবেন না বলেছেন । আবার গিয়ে দাঁড়াবেন লটারির দোকানে। আবার সংবাদপত্র হাতে টিকিটের নম্বর মিলিয়ে দেখবে প্রীতমের দুই অনুসন্ধানী চোখ ।