কুনো জাতীয় উদ্যানে 3 শিকারি, চিতাদের সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

কুনো জাতীয় উদ্যানে গুলির আওয়াজ শুনতে পান নিরাপত্তাকর্মীরা ৷ এরপর তাঁদের নজরে আসে 3 জন চোরাশিকারি ৷

গোয়ালিয়র, 13 ডিসেম্বর: কুনো জাতীয় উদ্যানে চোরাশিকারিদের আনোগোনার খবরে চাঞ্চল্য ৷ জাতীয় উদ্যানে বন্দুক চলার ঘটনা স্বীকার করে নিলেন ডিস্ট্রিক্ট ফরেস্ট অফিসার (ডিএফও) ৷ তবে চিতাদের সুরক্ষিত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷

মঙ্গলবার জাতীয় উদ্যানের মোরাভান এলাকায় বন্দুক চলার আওয়াজ শুনতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা ৷ তল্লাশির সময় তাঁদের নজরে আসে 3 বন্দুকবাজ ৷ এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান চোরাশিকারিরা ৷ ঘটনা প্রসঙ্গে শেওপুরের ডিএফও আর থিরুকুরাল বলেন, "বেশ কয়েকদিন ধরে জাতীয় উদ্যানে প্রবেশের চেষ্টা করছে চোরাশিকারি ৷ আমাদের কাছে আগে থেকেই এই খবরটি ছিল ৷ সেকারণে, জাতীয় উদ্যানের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয় ৷ এই আবহে মঙ্গলবার উদ্যানের একটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকে গুলির আওয়াজ পাওয়া যায় ৷" নিরাপত্তারক্ষীরা তল্লাশি শুরু করলে চোরাশিকারিরা পালিয়ে যায় বলে জানান ডিএফও ৷

মঙ্গলবারের এই ঘটনার জেরে জাতীয় উদ্যানের নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ সর্বদা টহল দিচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা ৷ তবে সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে চোরাশিকারিদের শনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানান ডিএফও ৷

চিতার পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফে বড় প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে ৷ এই প্রকল্পের আওতায় নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে একাধিক চিতাকে শেওপুরের কুনো জাতীয় উদ্যানে আনা হয় । এদের মধ্যে দু'টি চিতাবাঘ খোলা ঘুরে বেড়ায় উদ্যানে । এই আবহে চোরাশিকারিদের উপস্থিতি জাতীয় উদ্য়ানের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ৷

উল্লেখ্য, এর আগেও কুনো জাতীয় উদ্যানে প্রবেশের চেষ্টা করে শিকারিরা ৷ গত বছর 12 জুন 3 শিকারিকে আটকও করেন নিরাপত্তারক্ষীরা ৷ তারপর ফের মঙ্গলবারের ঘটনায় চিতাদের সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷

পড়ুন:রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও দিল্লির একাধিক স্কুলে বোমাতঙ্ক !