রাঁচি, 8 জুলাই: জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ফের ঝাড়খণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী পদে বসেছেন হেমন্ত সোরেন ৷ সোমবার তাঁর সরকার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা ভোটেও জিতেছে ৷ এই নিয়ে ওই রাজ্য়ের বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসে ৷ সেখানে আস্থা প্রস্তাব পেশ করেন হেমন্ত ৷ তার পর ভোটাভুটি হয় ৷ সেই ভোটাভুটিতে প্রস্তাবের পক্ষে মোট 45টি ভোট পড়ে, বিরোধিতায় একটি ভোটও পড়েনি । ঝাড়খণ্ডের চলতি বিধানসভায় এই নিয়ে চারবার আস্থা প্রস্তাব পেশ হল ৷
আস্থাভোট নিয়ে আলোচনা হয় ৷ সেই আলোচনার সময় বিরোধীরা হইহট্টগোল করে ৷ তার মধ্যেই আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বিজেপির সমালোচনা করেন ৷ তাঁর দাবি, লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশ বিজেপিকে শিক্ষা দিয়েছে ৷ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডের মানুষ বিজেপিকে শিক্ষা দেবে ৷ অন্যদিকে হেমন্ত সোরেনের সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা অমর বাউড়ি ৷ তিনি সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেন ৷
তার পর এনডিএ বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে ৷ তবে তার আগেই ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছিল ৷ বিরোধী বিধায়করা ভোটে অংশ নেননি ৷ নির্দল বিধায়ক সরযু রাই নিরপেক্ষ ছিলেন । ভোট গ্রহণের পর ঝাড়খণ্ড বিধানসভার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি করা হয় ।
আস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যার হ্রাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন । তিনি বলেন, ‘‘সবাই সরকার চালানোর সুযোগ পেলেও রাজ্যে যে পরিবর্তন হওয়া উচিত ছিল, তা হয়নি । গণতন্ত্রে জনগণের অনুভূতির যত্ন নেওয়া উচিত । সবাইকে ইতিবাচকভাবে কাজ করতে হবে ।’’