দারভাঙা (বিহার), 16 জুলাই: প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিকাশশীল ইনসান পার্টির সভাপতি মুকেশ সাহনির বাবাকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ । তাঁর নিজের বাড়ি থেকেই মিলল দেহ ৷ সেটি বিকৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের দারভাঙায় । পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে ৷ এসডিপিও মণীশ চন্দ্র চৌধুরী-সহ বিরাউল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছেন ।
সূত্রের খবর, মুকেশ সাহনি বর্তমানে মুম্বইয়ে রয়েছেন । দারভাঙায় দেহ উদ্ধারের ঘটনার কথা স্বীকার করে এসএসপি জগুনাথ রেড্ডি বলেছেন, "প্রাক্তন মন্ত্রী মুকেশ সাহনির বাড়ি দারভাঙার সুপল বাজারের আফজলা পঞ্চায়েত এলাকায় । বাড়িতেই নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন তাঁর বাবা জিতন সাহনি । তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে ।"
এসডিপিও মণীশ চন্দ্র চৌধুরীর কথায়, "প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যা মামলা । নিহত জিতন সাহনি তাঁর বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন । ওই সময়ে চুরি করার জন্য কয়েকজন তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে ৷ তিনি ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা । ঘটনাস্থলে গৃহস্থালির জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ।"
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মন্ত্রী মুকেশ সাহনিরা দুই ভাই ও এক বোন । মুকেশ সাহনি এবং তাঁর ভাই সন্তোষ সাহনি বাইরে থাকেন ৷ তাঁর বোন বিবাহিত এবং তিনি মুম্বইয়ে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে থাকেন । এই ঘটনার সময় মুকেশ সাহনিও মুম্বইতচে ছিলেন ষ তবে বাবার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তিনি সেখান থেকে দারভাঙার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন । স্থানীয় লোকজন জানাচ্ছে, ঘটনার সময় মুকেশ সাহনির বাবা জিতন সাহনি বাড়িতে একাই ছিলেন ।
উল্লেখ্য, বিহারের রাজনীতিতে খুব দ্রুত নিজের জায়গা করে নিয়েছন মুকেশ সাহনি । তিনি বিকাশশীল ইনসান পার্টির সভাপতি । 2020 সালের নির্বাচনের পর বিহারে নীতীশ কুমারের সরকার গঠিত হলে তাঁকে পশুপালন ও মৎস্য দফতরের মন্ত্রী করা হয়েছিল । যদিও পরে বিজেপির সঙ্গে মতপার্থক্যের পর এনডিএ থেকে আলাদা হয়ে যান তিনি । মুকেশ বিহার বিধান পরিষদের সদস্যও ছিলেন । নিষাদ সম্প্রদায় থেকে আসা মুকেশ সাহনি নিজেকে ‘সন অফ মাল্লা’ বলে ডাকেন । রাজ্যে মাল্লা (নিষাদ) সম্প্রদায়ের সংখ্যা প্রায় 12 শতাংশ ।