গোপালগঞ্জ,12 এপ্রিল:ছত্তিশগড়ের এসিবি 776 কোটি টাকার মদ কেলেঙ্কারির অভিযুক্ত অরুণপতি ত্রিপাঠীকে শনিবার ভোরে সিসাই গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে । গ্রেফতারের পর অভিযুক্তকে নিয়ে ছত্তিশগড়ের উদ্দেশে রওনা দেয় ছত্তিশগড় পুলিশ ।
এই প্রসঙ্গে, অরুণপতি ত্রিপাঠীর গ্রেফতারের বিষয়টি পুলিশ সুপার স্বর্ণ প্রভাত নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সুপার জানান, 2024 সালের 11 এপ্রিল এসিবি দল বিহারের গোপালগঞ্জ পুলিশের সহায়তায় সিসাই গ্রামে অভিযান চালায় । এ সময় আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন অভিযুক্ত অরুণপতি ত্রিপাঠী ৷ সেখানে পৌঁছে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে ।
গ্রেফতারের পর প্রাক্তন বিশেষ সচিব অরুণপতি ত্রিপাঠীর একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে ৷ এই ভিডিওটি তখনকার, যখন তিনি ছত্তিশগড়ের প্রশাসনিক দায়িত্বে ছিলেন। সে সময় তাঁর বিরুদ্ধে মদ কেলেঙ্কারির মামলায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে । এই ঘটনায় ইডি তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ছত্তিশগড়ে 776 কোটি টাকার মদ কেলেঙ্কারির একটি মামলা হয়েছিল ৷ ওই মামলায় ছত্তিশগড় সরকার অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরো এবং অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা পৃথকভাবে তদন্তের জন্য আরও একটি এফআইআর দায়ের করে ।
ওই এফআইআর-এ ছত্তিশগড়ের আবগারি দফতরের প্রাক্তন বিশেষ সচিব এবং ছত্তিশগড় স্টেট মার্কেটিং কর্পোরেশন লিমিটেডের (সিএসএমসিএল) এমডি অরুণপতি ত্রিপাঠি-সহ 70 জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে । এই মামলায় পলাতক ছিলেন অরুণপতি ত্রিপাঠী । কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে 11 এপ্রিল ভোরের দিকে অ্যান্টি-কোরাপশন ব্যুরোর পাঁচ সদস্যের একটি তদন্তকারী দল গোপালগঞ্জ থানার পুলিশের সহায়তায় অরুণপতিকে সিসাই গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় ।
ইডির অভিযোগ, 2019 সাল থেকে 2022 সালের মধ্যে ছত্তিশগড়ের মদ প্রস্তুতকারীদের কাছ থেকে 776 কোটি টাকার ঘুষ নেওয়া হয়েছিল । এই ক্ষেত্রে, ওই রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর করা হয় । তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের মন্ত্রী কাওয়াসি লখমা, আবগারি বিভাগের প্রাক্তন বিশেষ সচিব এবং ছত্তিশগড় স্টেট মার্কেটিং কর্পোরেশন লিমিটেডের এমডি অরুণপতি ত্রিপাঠি-সহ মোট 70 জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় ।
আরও পড়ুন:
- বাগদানের একদিন আগেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন অভিনেতা সূরজ
- 50 কর্মীকে নিয়ে খনিতে উলটে গেল বাস, ছত্তিশগড়ে মৃত বেড়ে 12; শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
- ছত্তিশগড় এনকাউন্টার, বিজাপুরে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে 9 নকশাল নিহত