বিলাসপুর, 25 অগস্ট: একই ছাদের তলায় থাকেন ৷ অথচ কোনও কারণ ছাড়াই স্বামীর সঙ্গে এক ঘরে থাকছেন না ৷ এটি স্বামীর প্রতি নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার সামিল ৷ এক মামলার শুনানিতে এমনটাই জানাল ছত্তিশগড় হাইকোর্ট ৷
কোন মামলায় এই পর্যবেক্ষণ ?
ছত্তিশগড় হাইকোর্টে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল । এক ব্যক্তি ওই মামলা দায়ের করেছিলেন ৷ বেশ কিছু দিন ধরেই স্ত্রী’র সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না ৷ দুরত্ব মেটানোর যাবতীয় প্রচেষ্টা করেও কাজের কাজ হয়নি ৷ ফলে শেষ পর্যন্ত বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বামী ৷ পারিবারিক আদালত বিবাহবিচ্ছেদের পক্ষেই রায় দেয় ৷ সেই রায়ের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে মামলা করেন স্ত্রী ৷ যদিও পারিবারিক আদালতের দেওয়া রায়ই বহাল রেখেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৷
মামলার শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘একই ছাদের নিচে একত্রে বসবাস করা সত্ত্বেও কোনও কারণ ছাড়াই একই ঘরে না-থাকা, স্বামীর প্রতি মানসিক নিষ্ঠুরতা ।’’
ঠিক কী হয়েছে ?
বিয়ের পর থেকে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে ঝগড়া শুরু হয় । পরিবারের সদস্যরা হস্তক্ষেপ করে বিবাদ থামানোর চেষ্টা করেন ৷ যদিও দিন দিন সম্পর্কের অবনতি হয় । দম্পতির বিবাদ চরমে উঠলে পরিবারের সদস্যরা সোসাইটি মিটিং ডাকেন । সেখানেও কোনও সমাধান পাওয়া যায়নি । একত্রবাস করলেও আলাদা ঘরে থাকতে শুরু করেন তাঁরা ৷
শেষ পর্যন্ত বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে যান ওই ব্যক্তি ৷ তিনি জানান, স্ত্রী’র সঙ্গে বিবাহিত জীবনযাপন করতে না-পারার কারণে, হিন্দু বিবাহ আইন 1955 এর 13 ধারায় বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আর্জি জানিয়ছেন। স্ত্রী পালটা আদালতে স্বামীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিয়ের রাতেই তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয় । বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে 2021 সালের অক্টোবর পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনযাপন করেন ৷ ইদানিং এক বোনের সঙ্গে স্বামী যে আচরণ করছেন তা তাঁর পছন্দ হয়নি ৷ ফলে আলাদা ঘরে থাকতেন ৷ যদিও শুনানি চলাকালীন স্বামীর সেই বোন রয়েছে, তাঁর প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি স্ত্রী। তারপরেই ওই ব্যক্তির আর্জিতে সায় দেয় হাইকোর্ট ৷