কোন্ডাগাঁও এলাকায় মাওবাদী-বিরোধী অভিযানের সময় 2 কেজি ওজনের তিনটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ৷
কোন্ডাগাঁও (ছত্তিশগড়) 4 ডিসেম্বর:পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিএএফ) মঙ্গলবার, 3 ডিসেম্বর, কোন্ডাগাঁও, জাবকাসা এবং পাহাড়ি এলাকায় একটি চিরুনি তল্লাশি চালানোর সময় 2 কেজি ওজনের তিনটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বাজেয়াপ্ত করেছে ৷ পরে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়।
মাওবাদী-বিরোধী সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ অভিযানটি ধনোরা জেলা পুলিশ বাহিনী এবং কুয়েমারী সিএএফ কর্মীরা একত্রিত হয়ে করেছিল ৷ এই অঞ্চলে নকশাল হামলা, আতঙ্ক আর আধিপত্য কমাতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে । গোপন সূত্রে ওই এলাকায় নকশাল হামলার ষড়যন্ত্র করার বিষয়ে খবর পায় পুলিশ ৷ তারপরই এই অভিযান চালালো পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিএএফ) ৷
জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালাতে এবং এই অঞ্চলে মাওবাদী আধিপত্য বাড়াতে আইইডিগুলিকে এই এলাকায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ৷ ফরাসগাঁওয়ের এসডিপিও অনিল বিশ্বকর্মা জানান, এলাকায় মাওবাদীদের উপস্থিতি নির্মূল করার জন্য তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, "মঙ্গলবার বিকাল 4টায় আইইডিগুলি উদ্ধার করা হয় ৷ এর পরে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী স্কোয়াড সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। পূর্বপরিকল্পিত হামলা এড়াতে আমরা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে তল্লাশি অভিযান আরও জোরদার করেছি।"
এর ঠিক তিন দিন আগে, 1 ডিসেম্বর, তেলেঙ্গানা-ছত্তিশগড় সীমান্তের ইতুরনগরাম চালপাকা বনাঞ্চলে তেলেঙ্গানা পুলিশের একটি বিশেষ মাও-বিরোধী বাহিনী গ্রেহাউন্ডস-এর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে 7 জন মাওবাদী খতম হয়। পুলিশ জানিয়েছে, একটি তল্লাশি অভিযানের সময় এই এনকাউন্টারটি হয়েছিল। একজন সিনিয়র পুলিশ কর্তা বলেন, "গুলির লড়াইয়ে সাতজন মাওবাদী নিহত হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে দুটি AK-47 রাইফেল রয়েছে ৷"