বেঙ্গালুরু, 11 ডিসেম্বর: বেঙ্গালুরুর বাড়ি থেকে উদ্ধার ইঞ্জিনিয়রের দেহ ৷ ঘটনায় আটক স্ত্রী ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায় ৷ পারিবারিক আদালতের বিচারব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷
পেশায় ইঞ্জিনিয়র ছিলেন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা অতুল সুভাষ ৷ চাকরি সূত্রে বেঙ্গালুরুর মঞ্জুনাথ লেআউটে থাকতেন তিনি ৷ পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকাল 6টা নাগাদ হয়সালা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে অতুলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর আসে ৷ খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ কর্মীরা ৷ অতুলের দেহ ও পাশে রাখা 24 পাতার একটি চিঠি উদ্ধার করেন তাঁরা ৷ সঙ্গে সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে মৃতের ভাই বিকাশ কুমারকে খবর দেওয়া হয় ৷ এরপর বিকাশ, দাদার স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনএস-র 108 3(5) ধারায় একটি মামলা রুজু করে পুলিশ ৷ এরপর মৃতের স্ত্রীকে আটক করা হয় ৷
মৃতের ভাই বিকাশ কুমার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই-কে জানান, গত 8 মাস আগে অতুল ও স্ত্রী আলাদা থাকতেন শুরু করেন ৷ অতুলের বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদ-সহ একাধিক মামলাও করেন তিনি ৷ জনপুর পারিবারিক আদালতে চলছিল মামলাগুলি ৷ সম্প্রতি মামলার রায় তাঁর দাদার বিপক্ষে যায় ৷ ফলস্বরূপ 3 কোটি টাকা খোরপোস দাবি করেন তাঁর স্ত্রী ৷ বিকাশের অভিযোগ, সেই ঘটনার পর মানসিক ও শারীরিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন তাঁর দাদা ৷ ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি ৷
ঘটনা প্রসঙ্গে হোয়াইটফিল্ড ডিভিশন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শিবাকুমার গুনারে জানান, 2019 সালে নিকিতা সিঙ্ঘানিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় অতুল সুভাষের ৷ তাঁদের 4 বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে ৷ তিনি বলেন, "অতুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ উঠেছে নিকিতার বিরুদ্ধে ৷ বিবাহবিচ্ছেদ মামলা চলাকালীন ছেলের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি অতুলকে বলেও অভিযোগ ৷ পরিবর্তে তাঁকে টাকার জন্য চাপ দেওয়া হত বলে জানিয়েছে অতুলের পরিবার ৷ ঘটনার তদন্ত চলছে ৷"