বাস্তার, 3 সেপ্টেম্বর: বড় সাফল্য ! দান্তেওয়াড়ার জঙ্গলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম 9 জন নকশাল ৷ মঙ্গলবার দান্তেওয়াড়া-বিজাপুর সীমানা এলাকায় সকাল 10টা থেকে শুরু হয় এনকাউন্টার ৷ কয়েক ঘণ্টা গুলি লড়াইয়ের পর অবশেষে সাফল্য পায় নিরাপত্তাবাহিনী ৷
দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই জানান, পশ্চিম বাস্তার এলাকার সীমানায় বেশ কয়েকজন নকশালপন্থীদের লুকিয়ে থাকার খবর আসে ৷ গোপন সূত্রে পাওয়া সেই খবরের ভিত্তিতে এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে স্থানীয় পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর যৌথদল ৷ নিরাপত্তাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালাতে শুরু করে লুকিয়ে থাকা নকশালরা ৷ জবাবে পাল্টা গুলি চালান নিরাপত্তারক্ষীরা ৷ গুলিতে খতম হয় 9 জন নকশাল ৷
পুলিশ সুপার জানান, মৃতদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি এসএলআর রাইফেল, .303 রাইফেল এবং .315 বোর রাইফেল উদ্ধার করেন নিরাপত্তারক্ষীরা ৷ তিনি বলেন, "শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই অভিযানের সকল নিরাপত্তারক্ষী সুরক্ষিত রয়েছে ৷ তবে এলাকায় এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে ৷ অভিযান শেষে ঘটনার সম্পূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে ৷"
প্রসঙ্গত, গত 29 অগস্ট নারায়ণপুরের অবুঝমাদের ঘন জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হয় উত্তর বাস্তার ডিভিশন কমিটির নকশালপন্থী 3 মহিলা ৷ গোপনা সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে, নারায়ণপুরের জঙ্গলে অভিযান চালায় ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি), স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের একটি যৌথ দল ৷
এনকাউন্টার শেষে পুলিশ জানায়, মৃত নকশালদের কাছ থেকে একটি 303 রাইফেল এবং .315 বোরের বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, গত 24 অগস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আশ্বাস দেন, 2026 সালের মার্চের মধ্যে ভারত নকশাল মুক্ত হবে । বিশ্লেষক মহলের দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সেই বার্তার পরই ছত্তিশগড়ে নকশাল দমন অভিযান অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে ৷