কোটা, 8 মার্চ: 'গিভ মি সাম সানশাইন, গিভ মি সাম রেইন, গিভ মি আনাদার চান্স, আই ওয়ানা গ্রো আপ ওয়ান্স এগেইন...' ৷ রাজকুমার হিরানির 'থ্রি ইডিয়টস' ছবিটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পড়ুয়ার অত্যাধিক চাপ কী মারাত্মক হতে পারে ৷ ছবির সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বারবার উঠে আসছে বর্তমান প্রেক্ষাপটে ৷ আবারও এক 16 বছরের জেইই পড়ুয়া বেছে নিল আত্মহত্যার পথ ৷ পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারেনি বলে সুইসাইড নোট লিখে 'কুইট' করল আরও এক পড়ুয়া ৷ এই নিয়ে চলতি বছরে পাঁচজন পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজস্থানের কোটা ৷
জানা গিয়েছে, জেইই মেইন এবং অ্যাডভান্সড পরীক্ষা অর্থাৎ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওই পড়ুয়া ৷ এক প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে ভরতি হয়েছিল সে ৷ থাকত বিজ্ঞান নগরের তিরুপতি ভবনের এক পেইং গেস্ট হাউসে ৷ সেখানেই তার ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷
পুলিশ অফিসার সতীশ চন্দ্র জানিয়েছেন, মাত্র 15 দিন আগে ওই পড়ুয়া গেস্ট হাউসে থাকা শুরু করেছিল ৷ বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা ছিল ওই পড়ুয়া ৷ গত বছর জেইই প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি সে এসেছিল কোটায় ৷ ইতিমধ্যেই তাঁর দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য ৷ পরিবারকেও খবর পাঠানো হয়েছে ৷
পেইংগেস্টের মালিক জানিয়েছেন, এদিন সকালে বাকি পড়ুয়ারা তাঁকে এসে জানান, ওই পড়ুয়াকে ডেকেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর তিনি বিষয়টি দেখতে যান ৷ ঘরে দুটো দরজা ছিল ৷ মূল দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল ৷ অন্য দরজা খুলে ঘরে ঢুকে সকলে চমকে যান ৷ তাকে মৃত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেন সকলে ৷ ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক দলের বেশ কিছু আধিকারিক ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে ৷ একটি সুইনাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, জেইই মেইন পরীক্ষায় ভালো ফল করতে না পারার কারণে চরম পদক্ষেপ নিয়েছে ওই পড়ুয়া ৷ পুলিশ তার বন্ধু ও আশেপাশের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ৷