পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : May 24, 2021, 4:49 PM IST

ETV Bharat / state

যশের আতঙ্কে ঘুম নেই হুগলির আম চাষি থেকে ব্যবসায়ীদের

যশ ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে গাছে আম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা । আর আম পাড়ার পর জাঁক দেওয়ার জন্য যে ঘরগুলি তৈরি করা হয় সেগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে । এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির সম্ভবনা থেকে যায় । তাই এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে আম চাষি থেকে ব্যবসায়ীরা দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন ।

mango farmers of hooghly are in fear of yaas
হুগলির আম চাষ

চুঁচুড়া, 24 মে : আমফানের পর যশের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন হুগলির আম চাষিরা । এমনিতেই করোনা আর লকডাউনে আমের ন্যূনতম দাম পাচ্ছেন না তাঁরা । তার উপর আমফানের মতো যশের দাপটেও যদি সমস্ত আম ঝরে যায় তাহলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন তাঁরা ।

হুগলি জেলার পোলবা-দাদপুর, বলাগড়, সিঙ্গুরসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় আম বাগান রয়েছে । হিমসাগর, সরি খাস, ল্যাংড়া ,আম্রপালি, মল্লিকার মত সুস্বাদু আমের চাষ হয় হুগলিতে । সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয় এই জেলায় । এর মধ্যে কোনও বাগানে 25 শতাংশ থেকে 50 শতাংশ আম পাড়া হয়ে গিয়েছে । এখনও গাছে আম রয়েছে । আর তাতেই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চাষি থেকে ব্যবসায়ীর ।

আবহাওয়া দপ্তরের যে পূর্বাভাস রয়েছে, তাতে 155 থেকে 165 কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে রাজ্যের উপর । সেক্ষেত্রে কোনও গাছে আর আম থাকবে না । আর আম পাড়ার পর জাঁক দেওয়ার জন্য যে ঘরগুলি তৈরি করা হয় সেগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে । এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সম্ভবনা থেকে যায় । তাই এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আম চাষি থেকে ব্যবসায়ীরা দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন ।

আমফানের আতঙ্কের রেশ কাটার আগেই আবার যশের আতঙ্ক । গত বছর 20 মে আমফানের তাণ্ডবে আম চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয় । এবার সেই মে মাসেই যশ আছড়ে পড়তে চলেছে । তাই দুশ্চিন্তায় ঘুম ছুটেছে আমচাষি ও আম ব্যবসায়ীদের । যেসব আমচাষি নিজেরাই আম পেড়ে বাজারে বিক্রি করেন তাঁদের চিন্তা বাড়িয়েছে যশ । আবার অনেক ব্যবসায়ী আছেন, যাঁরা লাখ লাখ টাকা দিয়ে আম বাগান লিজ় নেন । তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ । আমপানের ফলে গতবার আম পাওয়া যায়নি । এবার যশ কি করবে তা ভেবেই উঠতে পারছেন না তাঁরা ।

আমের ফলন ভালো হলেও লকডাউনের জন্য আমের দামও কম । এর পর ঝড় হলে আম চাষে কিছুই লাভ থাকবে না । আরও লোকসানে পড়বে সকলে । আম ব্যবসায়ী রমেশ দাস বলেন, "14 লাখ টাকা দিয়ে আম বাগান লিজ নিয়েছি । 20 শতাংশ আম বিক্রি হয়েছে । এখনও গাছে 80 শতাংশ আম রয়েছে । ঝড় আসার আগে সেই আম পাড়া যাবে না । বিক্রি তো দূরস্ত । ঝড়ে আম পড়ে গেলে সর্বনাশ হয়ে যাবে ।"

আরও পড়ুন : 26 মে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় যশ, চিন্তায় সুন্দরবন

আরেক আম ব্যবসায়ী বিধান পাল বলেন, "আম ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছে বহু মানুষ । আমরা আমবাগান লিজ নিই । চাষিরা আম পাড়ে, ঝাঁক দেন, বাজারে নিয়ে যান । গাড়ি করে আম বিভিন্ন জেলা ও ভিনরাজ্যে চলে যায় । কিন্তু এবার লকডাউনে বাজার খারাপ । আম পাকানোর জন্য কুড়ে ঘর তৈরি করতে হয় ৷ ঝড়ে সেসব উড়ে যাবে । আমফানে আমের কোনও ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়নি । এবারও ক্ষতি কিভাবে পূরণ হবে জানি না ।’’

ABOUT THE AUTHOR

...view details