বারুইপুর, 16 সেপ্টেম্বর : অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল বারুইপুরের জীবনতলা থানা এলাকার একটি বাড়িতে ৷ সেখান থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ ঘটনায় আকব্বর সর্দার ও আমির সাঁপুই নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ আজ তাদের আদালতে তোলা হলে পাঁচদিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ৷
অস্ত্র কারখানার হদিশ বারুইপুরে
গোপনসূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ ৷ সেইমতো গতকাল জীবনতলা থানা এলাকার একটি বাড়িতে হানা দিয়ে অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল বারুইপুর জেলা পুলিশ ৷ গ্রেপ্তার করা হয়েছে দু'জনকে ৷
বারুইপুরে অস্ত্র কারখানা চলছে ৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল বারুইপুর জেলা পুলিশ ৷ সেইমতো খোঁজখবর শুরু করে তারা ৷ খবর পায় বারুইপুরের জীবনতলা থানা এলাকার মৌখালির খুনখালির বাসিন্দা আকব্বর সর্দারের বাড়িতে তৈরি হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র ৷ গতকাল সেই বাড়িতে হানা দিয়ে অস্ত্র কারখানার হদিশ পায় পুলিশ ৷ উদ্ধার হয় তিনটি সিঙ্গল ব্যারেল, একটি এয়ারগান, একটি ছয়ঘরা রিভলভার, একটি 7mm পিস্তল, 10টি কার্তুজ, 3.6 কেজি গান পাউডার, ছয়টি আনফিনিশড পিস্তল, ইলেকট্রিক ড্রিল মেশিন, গ্রেজ মেশিন সহ প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ৷ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় ওই বাড়ির মালিক আকব্বর সর্দার । বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় আমির সাঁপুইকে ৷
বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খান জানান, স্পেশাল অপারেশনের OC লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাস ও জীবনতলা থানার OC সুভাষ ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশ খুনখালি এলাকা ঘিরে তল্লাশি শুরু করে ৷ আকব্বরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র সহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম ৷ ঘটনার পর থেকে পলাতক আরও এক অভিযুক্ত ৷ প্রায় ছয় মাস ধরে এই কারখানা চলছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷ ওই বাড়িতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ক্যানিং ও বাসন্তী সহ আশপাশের এলাকায় বিক্রি করা হত ৷ অস্ত্র তৈরির প্রশিক্ষণ কোথা থেকে ধৃতরা পেয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷