মুম্বই : একটা সময় ছিল যখন গ্যাংস্টার, ক্রাইম ও অ্যাংরি ইয়ং ম্যানদের ছবিই বেশি দেখানো হত বলিউডে । ছবির গল্প যেন ছিল একই গতে বাঁধা । আর 70-এর দশকে সেই চেনা ছক ভেঙে দেন ঋষি কাপুর । সেই 70-এর দশক থেকে 2020 সাল পর্যন্ত রোম্যান্টিক লুক, শান্ত নরম দৃষ্টি, ঠোঁটের কোণে দুষ্টু হাসি ও কঠিন চোয়াল নিয়েই ম্যাজিকাল স্ক্রিন প্রেজেন্সে একের পর এক সাফল্য কুড়িয়ে নিয়েছেন তিনি । 'ববি'-র চকোলেট বয় থেকে 'অমর আকবর অ্যান্টনি'-র আকবর ইলাহাবাদী, প্রতিটা চরিত্রেই নিজেকে ভেঙেছেন । অভিনয় ও ভুবনভোলানো হাসি দিয়েই সবার মন জিতে নিয়েছিলেন । 70-80-র দশকে জ়েন ওয়াইদের হার্টথ্রব ছিলেন তিনি ।
1952 সালের 4 সেপ্টেম্বর । রাজ কাপুর ও কৃষ্ণার কোলে আসে ঋষি । যত বড় হচ্ছিল ততই ফিল্ম দুনিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় হতে থাকে । মাঝেমধ্যেই দাদার সঙ্গে সেটে যেতেন । যা সিনেমার প্রতি তার ভালোবাসা তৈরি করে । আর সেই সময় থেকেই ক্যামেরার সঙ্গে রোম্যান্স শুরু হয়ে যায় ছোট্ট ঋষির । 'মেরা নাম জোকার'-এ বাবার ছোট্টবেলার চরিত্রে দেখা যায় তাকে । তখন তার বয়স মাত্র 16 । সেই ছবিতে তার অভিনয় সকলেরই নজর কেড়েছিল । পেয়েছিল স্বীকৃতিও । ছোট্ট রাজুর চরিত্র তাকে এনে দিয়েছিল শিশু শিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও ।
- 'ববি'-র 'ম্যায় শায়ার তো নেহি':
এর ঠিক তিন বছর পর লিড রোলে অভিনয়ের সুযোগ পান ঋষি । ডিম্পল কাপাডিয়ার বিপরীতে 'ববি' ছবিতে দেখা যায় তাঁকে । অ্যাংরি ইয়ং ম্যান নন, রোম্যান্টিক হিরো হিসেবে পরিচিতি পান তিনি । 1973-এ মুক্তি পাওয়ার পর ছবির 'ম্যায় শায়ার তো নেহি' গানটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল । জমজমাট এক পার্টিতে রাজা অর্থাৎ ঋষিকে গানটি গাইতে দেখা গিয়েছিল । তাঁর গলায় এই গানটি গেয়েছিলেন শৈলেন্দ্র সিং ।
- 'অমর আকবর অ্যান্টনি'-র 'পরদা হ্যায় পরদা' :
এরপর 1977 সালে 'অমর আকবর অ্যান্টনি'-র আকবর ইলাহাবাদীর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল ঋষিকে । 'ববি'-র চকোলেট বয় থেকে একজন মুসলিম গায়ক আকবর ইলাহাবাদীর চরিত্রের জন্য নিজেকে তৈরি করেছিলেন তিনি । আর এভাবেই হয়ে উঠেছিলেন ভার্সাটাইল অভিনেতা । এই ছবিতে রিয়েল লাইফ স্ত্রী নীতুর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা যায় তাঁকে । এছাড়া আকবরের ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন অমিতাভ বচ্চন ।
- 'চাঁদনি' ছবির 'চাঁদনি ও মেরি চাঁদনি' :