ওট্টায়া (কানাডা), 20 জানুয়ারি : রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়- এই প্রবাদবাক্য এখন কঠিন সত্য রায়ানের কাছে ৷ 13 বছর বয়সি রায়ানের বাবা মনসুর পৌরজাম আর বাকি পাঁচজনের মতোই একজন সাধারণ মানুষ ছিলেন ৷ রায়ানের কথায়, তার বাবার কাজে ও কথার মধ্যে কোনও নেতিবাচকতা ছিল না ৷ তিনি জীবন সম্পর্কে ভীষণই আশাবাদী ছিলেন৷ তবুও তাঁকে প্রাণ হারাতে হল বেঘোরে৷
8 জানুয়ারি ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক বিমান পিএস 752 তেহরান থেকে ইউক্রেনের কিভের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইরানের ছোড়া মিজ়াইলের আঘাতে বিমানটি 176 জন যাত্রীসহ মাটিতে আছড়ে পড়ে৷ মৃত 176জনের মধ্যে কমপক্ষে 57 জন কানাডিয়ান ছিলেন ৷ যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন ইরানীয় বংশোদ্ভূত ৷ সেই বিমানেরই যাত্রী ছিলেন মনসুর ৷ বাবার মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর কানাডার ওট্টায়ায় কার্লটন ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত এক স্মরণসভায় এসে মনকে শক্ত করে রায়ান বলে, "এখানে এসে আমি কোনও খারাপ কথা বলতে চাই না কারও সম্পর্কে ৷ কারণ আজকে আমার বাবা বেঁচে থাকলে এবং এই মুহুর্তে আমার জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলে তিনিও কোনও খারাপ কথা বলতেন না ৷ যদি এককথায় আমার বাবা সম্পর্কে বলতে হয়, তাহলে বলব তিনি ছিলেন শক্তিশালী ৷ একের পর এক দুর্যোগ, বাধা-বিপত্তি পেরিয়েও তিনি ভেঙে পড়েননি ৷ মাথা সোজা করে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৷ তিনি সত্যিই অসাধারণ ছিলেন ৷" এইটুকু বলেই রায়ানের চোখ ছলছল করে ওঠে৷