কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি : 2015 সালের 27 ডিসেম্বর ব্রিগেড সমাবেশে শেষবারের মতো ভাষণ দিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য । সেবারও তিনি শিল্পায়নের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন ৷ তিনি সিওপিডির রোগী । ধোঁয়া ধুলোর থেকে সব সময় শরীর বাঁচিয়ে চলতে হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের । অশক্ত শরীরে চোখের সমস্যা প্রকট হয়েছে । এতকিছু সমস্যা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে 2019 সালের 3 ফেব্রুয়ারি শেষবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে গিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য । সভামঞ্চে উঠতে পারেননি । সভামঞ্চের নিচে স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যকে নিয়ে কিছুক্ষণ ছিলেন বুদ্ধদেব । শুনেছেন বিভিন্ন বক্তাদের বক্তব্য । দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতেই সেদিন ব্রিগেডের মাঠে এসেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য । অক্সিজেন সিলিন্ডারকে সঙ্গে নিয়েই ব্রিগেডে এসেছিলেন তিনি ।
সেদিন ব্রিগেডের মঞ্চে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু যখন ঘোষণা করছেন, ‘‘আমাদের মঞ্চের নীচে আমাদের পার্টির, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদীর প্রাক্তন পলিটব্যুরোর সদস্য এবং রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মঞ্চের নিচে অপেক্ষা করছেন । তিনি এসেছেন । তিনি গাড়িতেই বসে আছেন বক্তব্য শোনার জন্য ।’’ তখন ব্রিগেডের মাঠের লক্ষাধিক জনতা উদ্বেলিত । তাঁদের প্রিয় নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এসেছেন সে খবর শুনে প্রবল আনন্দে ফেটে পড়লেন ব্রিগেডের সমবেত জনতা । বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আসার খবর শুনে আনন্দিত হলেন সকলে । যদিও সেদিন বক্তা ছিলেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য । 'লড়াই' আর 'লাল সেলামের' ধ্বনিতে সেদিন মুখরিত হয়েছিল ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড । জ্যোতি বসুর প্রয়াণের পর তিনি ছিলেন বাম ব্রিগেডের অন্যতম তারকা বক্তা ৷