মহাসামুন্দ (ছত্তিশগড়), 19 মে: বিলাসবহুল জীবনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পরিবার। আর তাই বাবা-মা আর ঠাকুমাকে 'খুন' করেছিল বাড়ির ছোট ছেলে। এমনটাই অভিযোগ পুলিশের। সন্দেহ এড়াতে নিজেই থানায় গিয়ে মিসিং ডায়েরি করে। তদন্তে নেমে প্রথমে পুলিশও বুঝতে পারেনি বিষয়টা। প্রায় দশদিন বাদে বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে এল সত্য ঘটনা। ছত্তিশগড়ের মহাসামুন্দের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে নানা মহলে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন প্রভাত ভৈ। স্ত্রী ঝর্ণা, মা সুলোচনা এবং ছোট ছেলে উদিতকেই নিয়েই ছিল প্রভাতের সংসার।বড় ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে। ছোট ছেলে উদিতকে নিয়ে চিন্তায় দিন কাটত বাকিদের। সে কোনও কাজ করত না । তাছাড়া মদ্যপানেরও অভ্যাস ছিল। তাছাড়া ছোটখাটো চুরির ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছিল উদিতের। নাম জড়ায় অন্য কয়েকটি গোলমালেও। তা নিয়ে পরিবারের অশান্তি হত নিয়মিত।কখনও কখনও সেই অশান্তি বড় আকারও নিত।
জানা গিয়েছে 9 তারিখ স্থানীয় থানায় গিয়ে উদিত জানায়, তার বাবা-মা এবং ঠাকুমার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রথমটায় কিছু বোঝা না গেলেও ধীরে ধীরে উদিতের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় আধিকারিকদের মধ্যে। তার কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরপরই তাকে লাগাতার জেরা করতে শুরু করেন তদন্তকারীরা । তাতেই ক্রমশ সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে থাকে। সে নিজেই যে খুনি তা বুঝতে পারে পুলিশ।