রাজকোট, 17 এপ্রিল: কুসংস্কারের ফেরে পড়ে প্রাণ বিসর্জন দিলেন এক দম্পতি ৷ যজ্ঞকুণ্ডে প্রসাদ হিসেবে নিজেদের মাথা নিবেদন করেছেন স্বামী ও স্ত্রী ৷ নাবালক সন্তানদের মামার বাড়িতে রেখে এসে যজ্ঞকুণ্ডে আত্মাহুতি দেন তাঁরা ৷
হাড়হিম করা এই ঘটনা ঘটেছে রাজকোটের ভিঞ্চিয়ায় ৷ পুজো দেওয়ার জন্য ধড়-মুণ্ড আলাদা হয়েছে হেমু মাকওয়ানা ও হংসবেন মারওয়ানার ৷ তান্ত্রিক ক্রিয়ায় যজ্ঞকুণ্ডে নিজেদের মাথা নিবেদন করেন এই দম্পতি ৷ শুধু তাই নয়, সুইসাইড নোটে তাঁরা গোটা ঘটনার কথা লিখেও গিয়েছেন ৷ একটি দুই পৃষ্ঠার সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে তাঁদের দেহের কাছ থেকে । সেই নোটে ওই মহিলা তাঁর বুড়ো আঙুলের ছাপ দিয়ে গিয়েছেন এবং তাঁর স্বামী স্বাক্ষর করেছেন । পুলিশ দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজকোটে পাঠিয়েছে । হচ্ছে ফরেন্সিক পরীক্ষাও ৷
রাজকোট জেলার ভিঞ্চিয়া মধুকা রোডের ভোজভাই মাকওয়ানার মালিক তাঁর ছেলে এবং পুত্রবধূর কুসংস্কারে আত্মাহুতি দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছেন । বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায় । ভোজভাইয়ের ছেলে হেমুভাই মাকওয়ানা ও তাঁর স্ত্রী হংসাবেন হেমুভাই মাকওয়ানা নিজে পদ্মপুজোর যজ্ঞ করেন এবং তাঁদের মাথা দান করেন । যজ্ঞের আগে তাঁদের নাবালক ছেলে-মেয়েদের মামার বাড়িতে রেখে এসে, পরে যজ্ঞের উপকরণ নিয়ে মাঠে যান তাঁরা । গত কয়েক মাস ধরে তাঁরা তাঁদের খামারে একটি যজ্ঞকুণ্ড করেছিলেন ৷
উভয়ের সুইসাইড নোট ছাড়াও ঘটনাটি যে স্থানে হয়েছে, সেখান থেকে 50 টাকার স্ট্যাম্প পেপারও পাওয়া গিয়েছে । এই ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে । পদ্ম পুজো করার কারণ কী ? কেউ কি তাঁদের তান্ত্রিক আচার করতে প্ররোচিত করেছিলেন ? কী উদ্দেশ্যে তান্ত্রিক আচার করা হচ্ছিল ? পরিবারের অন্য সদস্যরা কি তান্ত্রিক আচার সম্পর্কে অবগত ছিলেন না ? রবিবার দুপুরে মেয়ে গিয়ে বাবা-মাকে এই অবস্থায় দেখে সবাই পুলিশকে খবর দেন । হেমুভাই ভোজভাই মাকওয়ানা এবং তাঁর স্ত্রী হংসাবেন হেমুভাই মাকওয়ানা রাতে তান্ত্রিক আচার পালনের পর দুজনেই পদ্ম পূজা করেন । রাতে তান্ত্রিক আচারের মাধ্যমে পুজো শেষ করে তাঁরা আগুনের গহ্বরে মাথা দিয়ে দেন বলে মনে করা হচ্ছে ।