দিল্লি, 9 অক্টোবর : মাত্র 10 দিন আগে দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েলকে রাজ্যের কর্মসংস্থানের বিষয়ে জানিয়ে ছিলেন আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল । তারপরেই আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যে এগিয়ে এল কেন্দ্রের খাদি এবং গ্রামোদ্যোগ কমিশন । কর্মহীনদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আসানসোলের ইস্কোর বার্নপুর ক্লাবে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয় । এই সেমিনারে বিভিন্ন খাদি ও গ্রামীণ উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয় । এছাড়াও কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কিভাবে ব্যাংকঋণ পাওয়া যেতে পারে তা নিয়েও সবিস্তারে জানানো হয়।
আরও পড়ুন:Lakhimpur Kheri Case : অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তদারকিতে লখিমপুর-তদন্ত, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
ভোটে দাঁড়ানোর সময় তাঁর প্রতিশ্রুতি ছিল আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে । সেই কথা রাখতেই ভোটে জেতার কয়েক মাস পরেই অগ্নিমিত্রা দিল্লি ছুটেছিলেন । নিজে একজন নামকরা ফ্যাশন ডিজাইনার । সেই অভিজ্ঞতা থেকেই জানিয়েছিলেন, খাদি, বিভিন্ন টেক্সটাইল কিংবা এই ধরনের উদ্যোগ নিলে কর্মসংস্থান হতে পারে । এই আশা নিয়েই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি । যদিও ওই দফতর পীযূষ গোয়েলের নয় । সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে অগ্নিমিত্রা পীযূষ গোয়েলের হাতেই চিঠি দিয়ে এসেছিলেন।
মাত্র 10 দিনের মধ্যেই শুধু সেই চিঠির উত্তর পেলেন তা নয়, কেন্দ্রীয় খাদি এবং গ্রামোদ্যোগ কমিশন কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এগিয়ে এল আসানসোলে । আজ ইস্কোর বার্নপুর ক্লাবে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় খাদি গ্রামোদ্যোগ কমিশনের রাজ্য ডিরেক্টর এবং দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা । তাঁরা বিভিন্ন গ্রামীণ উদ্যোগ , প্রকল্প , কুটিরশিল্প ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেন । কীভাবে উপভোক্তারা এই প্রকল্পের আওতাধীন হতে পারেন, কীভাবে তাঁরা নতুন উদ্যোগ তৈরি করতে পারেন, কীভাবে ব্যাঙ্ক ঋণ পেতে পারেন সমস্ত বিষয়ে বিশদে আলোচনা হয় ।
কথা রাখলেন অগ্নিমিত্রা, আসানসোলে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এল ‘খাদি এবং গ্রামোদ্যোগ কমিশন’ এরপরেও যে সমস্ত জায়গাগুলিতে কোনও সমস্যা হবে, সেখানে নিজে দাঁড়িয়ে সেই সমস্যার সমাধান করবেন বলে অগ্নিমিত্রা পল জানিয়েছেন । তাঁর আশা, আগামী দিনে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে মৌমাছি চাষ, খাদি, সাবান তৈরি ,মোমবাতি তৈরি-সহ বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে এসে তিনি এলাকার মানুষকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারবেন । ১৫০ জন উপভোক্তা এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন । গ্রামের আদিবাসী মহিলারাও এসেছিলেন এই সেমিনারে । অনেকেই এই সেমিনারের পরে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন ।