ETV Bharat / bharat

ବାପା-ମା'ଙ୍କ ମହାନତା: ମୃତ ଶିଶୁର ଚକ୍ଷୁଦାନ କଲେ ବର୍ଦ୍ଦୱାନର ଦମ୍ପତ୍ତି

3 ଦିନର ମୃତ ଶିଶୁକୁ ଜୀବିତ ରଖିବାକୁ ବର୍ଦ୍ଦୱାନର ଦମ୍ପତ୍ତିଙ୍କ ବଡ ନିଷ୍ପତ୍ତି । ଅନ୍ୟ କାହା ଆଖିରେ ନିଜ ଶିଶୁର ଆଖିରେ ଅନ୍ୟ କେହି ଦୁନିଆ ଦେଖୁ ବୋଲି ଉକ୍ତ ଦମ୍ପତ୍ତି ଚାହୁଁଥିଲେ। ତେଣୁ ସେମାନେ ଏହି ନିଷ୍ପତ୍ତି ଗ୍ରହଣ କଲେ।

ଫଟୋ ସୌଜନ୍ୟ: ଇଟିଭି ଭାରତ, ବ୍ୟୁରୋ
author img

By

Published : Aug 5, 2019, 2:48 PM IST

କୋଲକାତା: ବଡପଣିଆ ଦେଖାଇଲେ ବର୍ଦ୍ଦୱାନର ଦମ୍ପତ୍ତି । ତିନି ଦିନର ମୃତ ଶିଶୁର ଚକ୍ଷୁ ଦାନ କରି ସମଗ୍ର କୋଲକାତା ପାଇଁ ଉଦାହରଣ ପାଲଟିଛନ୍ତି । ପଶ୍ଚିମ ବର୍ଦ୍ଦୱାନର ଅରୁପ ପାନ ଓ ସ୍ତ୍ରୀ ଦିପନବିତା ଏ ବଳିଦାନ ସହରରେ ପ୍ରଥମ ।

ଜୁଲାଇ 31ରେ, ଶିଶୁଟି ଜନ୍ମ ହୋଇଥିବାବେଳେ ସ୍ବାସ୍ଥ୍ୟବସ୍ଥାରେ ଅବନତି ପରିଲକ୍ଷିତ ହୋଇଥିଲା । ଆମୋନିଆ ରୋଗରେ ପୀଡିତ ହୋଇଥିବା ଜଣାପଡିବା ପରେ ହସ୍ପିଟାଲରେ ଭର୍ତ୍ତି କରିଥିଲେ ପରିବାର ଲୋକେ। କିନ୍ତୁ ଗତ ରବିବାର ଶିଶୁଟିର ମୃତ୍ୟୁ ହୋଇଥିଲା ।

ଏହା ପରେ ନିଜ ମୃତ ଶିଶୁକୁ ନିଜ ଭିତରେ ଜୀବିତ ରଖିବାକୁ ଯାଇ ତାର ଚକ୍ଷୁକୁ ଦାନ କରିବାକୁ ପରିବାର ଲୋକେ ନିଷ୍ପତ୍ତି ନେଇଥିବାର ଜଣାପଡ଼ିଛି । ଘଟଣାରେ ବିଷୟରେ ହସ୍ପିଟାଲ କର୍ତ୍ତୃପକ୍ଷଙ୍କୁ ଜଣାଇଥିବାବେଳେ ଖୁବଶୀଘ୍ର ଏହା ପ୍ରତିରୋପଣ କରାଯିବ ।

କୋଲକାତା: ବଡପଣିଆ ଦେଖାଇଲେ ବର୍ଦ୍ଦୱାନର ଦମ୍ପତ୍ତି । ତିନି ଦିନର ମୃତ ଶିଶୁର ଚକ୍ଷୁ ଦାନ କରି ସମଗ୍ର କୋଲକାତା ପାଇଁ ଉଦାହରଣ ପାଲଟିଛନ୍ତି । ପଶ୍ଚିମ ବର୍ଦ୍ଦୱାନର ଅରୁପ ପାନ ଓ ସ୍ତ୍ରୀ ଦିପନବିତା ଏ ବଳିଦାନ ସହରରେ ପ୍ରଥମ ।

ଜୁଲାଇ 31ରେ, ଶିଶୁଟି ଜନ୍ମ ହୋଇଥିବାବେଳେ ସ୍ବାସ୍ଥ୍ୟବସ୍ଥାରେ ଅବନତି ପରିଲକ୍ଷିତ ହୋଇଥିଲା । ଆମୋନିଆ ରୋଗରେ ପୀଡିତ ହୋଇଥିବା ଜଣାପଡିବା ପରେ ହସ୍ପିଟାଲରେ ଭର୍ତ୍ତି କରିଥିଲେ ପରିବାର ଲୋକେ। କିନ୍ତୁ ଗତ ରବିବାର ଶିଶୁଟିର ମୃତ୍ୟୁ ହୋଇଥିଲା ।

ଏହା ପରେ ନିଜ ମୃତ ଶିଶୁକୁ ନିଜ ଭିତରେ ଜୀବିତ ରଖିବାକୁ ଯାଇ ତାର ଚକ୍ଷୁକୁ ଦାନ କରିବାକୁ ପରିବାର ଲୋକେ ନିଷ୍ପତ୍ତି ନେଇଥିବାର ଜଣାପଡ଼ିଛି । ଘଟଣାରେ ବିଷୟରେ ହସ୍ପିଟାଲ କର୍ତ୍ତୃପକ୍ଷଙ୍କୁ ଜଣାଇଥିବାବେଳେ ଖୁବଶୀଘ୍ର ଏହା ପ୍ରତିରୋପଣ କରାଯିବ ।

Intro:কলকাতা, ৪ অগাস্ট: জন্মের পরে প্রথম সন্তানকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাবেন, স্বাভাবিকভাবে তারই অপেক্ষায় ছিলেন মা-বাবা। অপেক্ষায় ছিলেন পরিজনরাও। কিন্তু, শেষ রক্ষা আর হল না। অবশেষে, কষ্ট বুকে চেপে রেখে, তিন দিন বয়সি মৃত সন্তানের কর্নিয়া দান করলেন মা-বাবা। এত কম বয়সের কারও অঙ্গদানের এই ঘটনা, সম্ভবত এ দেশে এই প্রথম বলে জানা গিয়েছে।
Body:পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালের বাসিন্দা বছর ৩৮-এর অরূপ পান। তিনি ইস্টার্ন রেলের স্টাফ। তাঁর স্ত্রী দীপান্বিতা পান (২৮), গৃহবধূ। গত ৩১ জুলাই দুর্গাপুরের বেসরকারি একটি হাসপাতালে তাঁদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু, জন্মের পরের দিন অর্থাৎ, গত ১ অগাস্ট থেকে তাঁদের এই পুত্রসন্তানের সমস্যা দেখা দেয়। অরূপ পানের কথায়, "খাওয়ার সমস্যা দেখা দিয়েছিল। যা কিছু খাওয়ানো হচ্ছিল, তা বমি করে দিচ্ছিল। চিকিৎসকরা বললেন, অ্যামোনিয়ার অভাব রয়েছে।" সদ্যোজাতর এমন শারীরিক সমস্যার কারণে তাকে রাখা হয় নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (NICU)-এ। তবে, এই শিশুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

মৃত এই শিশুর বাবা অরূপ পান বলেন, "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করেছিলেন। ডায়ালিসিস, ভেন্টিলেশন, সব ধরনের ব্যবস্থাই হয়েছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি‌। চিকিৎসকরা বলেন, অ্যামোনিয়ার যে অভাব হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত তা আর নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হল না।" এ দিকে, জন্মের পরে সন্তানকে যাতে সুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন, প্রয়োজনে তার চিকিৎসায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার কথা ভেবেছিলেন বলে জানিয়েছেন অরূপ পান। সন্তান প্রসবের পরে শারীরিক কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি দীপান্বিতা পানকে। শনিবার হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছুটিও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে, অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে, এই অবস্থায় বাড়ি ফেরেননি তিনি।

এ দিকে, রবিবার সকালে যখন তাঁদের সন্তানকে আর বাঁচানো সম্ভব হল না বলে চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানতে পারেন অরূপ পান, তখনও মৃত সন্তানের কর্নিয়া দানের বিষয়টি তাঁরা ভাবেননি। অরূপ পানের এক দিদি বেসরকারি ওই হাসপাতালের স্টাফ। মৃত এই শিশুর কর্নিয়া দান করার জন্য তিনি অরূপ পানকে অ্যাডভাইস করেন। এর পরে, এই বিষয়টি নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন অরূপ পান। তিনি বলেন, "দিদির অ্যাডভাইসের বিষয়টি স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করলাম। সন্তানকে বাঁচাতে আমরা এত টাকা খরচ করলাম, কিন্তু এখন আমাদের কিছুই তো আর থাকবে না। কর্নিয়া দানের মাধ্যমে যদি বেঁচে থাকে কোনও স্থানে আমাদের সন্তান, আমরা তো বুঝবো যে ওর কিছু একটা পার্ট বেঁচে আছে‌।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "এই সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের দু'জনের কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু, আমাদের দুজনকেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। কারও চোখে আমাদের সন্তানের কর্নিয়া লাগানো হলে, আমরা বুঝব ও বেঁচে আছে।" দীপান্বিতা পানের কথায়, "আমরা শূন্য হয়ে যায়নি। আমাদের সন্তান কোনও ভাবে বেঁচে থাকবে।"
Conclusion:অঙ্গদানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে‌। অঙ্গ দান করা হলে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমাদের সকলের সুবিধা হবে। এ কথা জানিয়ে অরূপ পান বলেন, "বিষয়টা কষ্টকর। কিন্তু, সবাই যদি এগিয়ে আসেন, তা হলে ভবিষ্যতে এই বিষয়টা মানবজাতির পক্ষে ফলপ্রসূ হবে।" এই শিশুর মৃত্যুর কারণে পরিবারে শোকের যে আবহ তৈরি হয়েছিল, এভাবে কর্নিয়া দানের পরে শোকের সেই আবহ অনেকটাই কেটে গিয়েছে। এ কথা জানিয়ে অরূপ পান বলেন, "কর্নিয়া দানের মাধ্যমে একটা ভালো কাজ হয়েছে। আমার বাড়ি এবং আমার স্ত্রীর বাপের বাড়ি, দুই দিকেই শোকের পরিবেশ অনেকটা দূর হয়েছে।"
_______

ছবি:
wb_kol_03a_cornea_3_days_baby_donate_pic_7203421
মৃত শিশুর মা-বাবা

wb_kol_03b_cornea_3_days_baby_donate_pic_7203421
মৃত শিশু




ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.