সম্প্রীতির অনন্য নজির রায়গঞ্জে, পুজোয় মিশে যান হিন্দু-মুসলিম - Durga Puja 2024
Published : 1 hours ago
'ধর্ম যার যার, উৎসব সবার' এই বার্তাই দিয়ে চলেছে রায়গঞ্জের মেহেন্দি গ্রাম সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটিতে। এলাকার হিন্দু-মুসলিম মানুষের সমন্বয়ে 300 বছর ধরে সম্প্রীতির দুর্গোৎসব হয়ে আসছে রায়গঞ্জ ব্লকের মেহেন্দি গ্রাম সর্বজনীন দুর্গাপুজোয়। এই পুজোয় শুধু চাঁদা দেওয়াই নয়, রীতিমতো পুজো কমিটিতে থেকে চাঁদা তোলা-সহ পুজোর সমস্ত কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন মেহেন্দি গ্রাম এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা। ভিন্ন ধর্মালম্বী হলেও এখানকার দেবী দুর্গার মাহাত্ম্য তাঁদেরকে আকৃষ্ট করে পুজোয় শামিল হতে। আর সেকারণেই রায়গঞ্জ শহর থেকে 10 কিলোমিটার দূরে এই গ্রামের পুজোর দেবীর প্রতিমা দর্শন করতে মানুষরা পৌঁছন।
এই মা এত জাগ্রত বলেই বিগত বছরগুলিতের প্রতিমা কিনতে হয়নি পুজো কমিটির। আজও কিনতে হয় না প্রতিমা। মায়ের ভক্তরাই রায়গঞ্জের কুমোরটুলিতে প্রতিমা অর্ডার দিয়ে বানিয়ে নিয়ে এসে এই মন্দিরের নিয়ে আসেন আজও।
মেহেন্দি গ্রাম সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির কর্মকর্তা রামেশ্বর রায় জানিয়েছেন, বাংলাদেশের হবিপুরে জমিদার দুর্লভ রায়চৌধুরী এই পুজো শুরু করেছিলেন। পুজোর মধ্যে গ্রামের সবাই নিরামিষ খাবার খান। পুজোতে মুসলিম সম্প্রদায় মানুষরাও ভোগ দেন এবং তাঁরাও হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেন। তাঁরা সকলেই এক হয়ে এই পুজোতে আনন্দ করেন বলে জানান রামেশ্বরবাবু ৷
ইব্রাহিম আলি নামের এক গ্রামবাসী বলেন, "এই পুজো আমরা হিন্দু-মুসলিম মিলে করি। বাপ, ঠাকুরদার কাছে গল্প শুনেছি এই মায়ের সোনার অলঙ্কারগুলি চুরি হয়ে গিয়েছিল ৷ কিছুদিন পরে ওই চোররাই আবার সেগুলি দিয়ে যায়। আমরা কখনোই মনে করি না, এটা হিন্দুদের পুজো বলে ৷