জলপাইগুড়ি, 25 জানুয়ারি: পর্যটনের নতুন ঠিকানা কালিম্পং জেলার পাশাবং গ্রাম । পাখি নিয়ে যারা কাজ করেন বা পাখির ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য আদর্শ গ্রাম এই পাশাবং । রক ক্লাইম্বিং থেকে শুরু করে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের নতুন ঠিকানা এই গ্রাম । স্থানীয় বেকার যুবকরা এখানে হোম-স্টে গড়ে তুলেছেন । মিরিক লেকের আদলে এখানে গড়ে তোলা হয়েছে নোকডারা লেক ।
কীভাবে যাবেন ?
ডুয়ার্সে যারা ঘুরতে আসেন তাদের জন্য এই পাশাবং গ্রামে যাওয়া খুবই সহজ । জলপাইগুড়ির মালবাজার থেকে ছোট গাড়ি নিয়ে লাভা দিয়ে যাওয়া যায় । এছাড়া ঝান্ডি হয়ে সামা ভিউ টি-গার্ডেন হয়েও যাওয়া যায় এই পাশাবং গ্রামে । মালবাজার থেকে এই গ্রামে যেতে প্রায় দু'ঘণ্টা সময় লাগবে ।
কোথায় থাকবেন ?
পাশাবং গ্রামেই বেশ কিছু উদ্যোমী যুবক কটেজ তৈরি করেছেন । স্থানীয়দের নিয়ে মোট 8টি কটেজ রয়েছে । কটেজগুলি দেখতে খুবই আকর্ষণীয় ।কেউ পরিবার নিয়ে যেতে পারেন, আবার যদি কেউ কোনও গ্রুপ করে একসঙ্গে 7-8 জন যান তাহলে ডুপ্লেক্স রুমে থাকা যেতে পারে । তার জন্য আপনাকে বেশি টাকা খরচও করতে হবে না ।
ভাড়া মাত্র 2500 টাকা (7 জন) । জনপ্রতি 600 টাকা দিয়ে সকালের চা থেকে শুরু করে রাতে ডিনার সবই পাবেন ।
কী কী দেখবেন ?
পাশাবং এমন একটি গ্রাম যেখান থেকে টাইগার ফলস রয়েছে । যাকে বাক ঝরণা বলা হয় । যারা ভুগোলের ছাত্রছাত্রী তারা গীতখোলা রিভার বেডে পাথর নিয়ে পড়াশোনাও করতে পারবেন । ভুগোল নিয়ে যারা গবেষণার কাজ করেন তাদের জন্য এটি আদর্শ জায়গা । এছাড়া এখানে থেকে রক ক্লাইম্বিংয়ের মজা নিতে পারবেন পর্যটকরা । পাহাড়ের দেড় হাজার ফিট উঁচুতে গীতখোলা নদী অবস্থিত । পাহাড়ি ঝরণায় স্নান করার মজাও নিতে পারবেন পর্যটকরা । এখানে প্রচুর পাখি রয়েছে । শুধু তাই নয়, বিরল প্রজাতি 22-24 জোড়া রুফোর্স নেকড হর্নবিল রয়েছে ।
বার্ডওয়াচারদের জন্য এটি খুবই ভালো জায়গা । দীর্ঘ প্রয়াসের পর এই প্রথম পাহাড় ও সমতলের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া বেকার ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে পর্যটনের এক নতুন জায়গায় উদ্ধার হয়েছে । কালিম্পং জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম পাশাবং । শীতকালে গ্রামটি গোলাপি আর হলুদ ফুলে ছেঁয়ে যায় । যেখানে চা বাগান, জঙ্গল-সহ গীতখোলা নদী বয়ে যায় পাশাবং গ্রামের বুক চিরে ।
পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত রাজেন প্রধান জানান, এই জায়গাটা আমরা গত বছর খুঁজে বের করেছি । এই গ্রামটিতে আগামীতে পর্যটকের ঢল নামবে এটা বলতেই পারি । এই গ্রামে পর্যটক আসা মানেই বেকার যুবকদের মুখে হাসি ফোটা । পাশাবং গ্রামের পর্যটনের সাথে যুক্ত স্বরূপ মিত্র বলেন, "পাহাড়ের নদীর পাশেই থাকার মজাটাই আলাদা । এবার পুজোয় পর্যটকদের ঢল নামবে এই পাশাবং গ্রামে রাতে ক্যাম্প ফায়ারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে ।"
আরও পড়ুন: