তারকাদের ছদ্মবেশে স্ক্যাম! 'ফেসিয়াল রেকগনিশন' চালু মেটার

সেলিব্রিটি-টোপ স্ক্যাম বন্ধে এগিয়ে এল মেটা ৷ তারকাদের ছদ্মবেশ সনাক্ত করতে আবার 'ফেসিয়াল রিকগনিশন' প্রযুক্তি পুনরায় চালু করছে জুকারবার্গের সংস্থাটি ৷

হায়দরাবাদ: তারকাদের ডিপ স্ক্যাম থেকে বাঁচাতে আবারও 'ফেসিয়াল রিকগনিশন' অর্থাৎ মুখের ছবি দিয়ে চিনতে পারার প্রযুক্তি চালু করতে চলেছে মেটা ৷ এটাই প্রথম নয়, আগেও এই পদ্ধতি চালু ছিল ফেসবুক তথা মেটার ৷ বছর তিনেক আগে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা করতেই ফেসবুকে ফেসিয়াল রিকগনিশন অপশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে আবার সেটি চালু করতে চলেছে ৷

দেখা গিয়েছে, সাইবার অপরাধী বা স্ক্যামাররা অনেক সময়েই তারকাদের মুখ ব্যবহার করে অপরাধমূলক কাজ করে ৷ তার থেকে নাগরিকদের রেহাই দিতেই এই উদ্যোগ ৷' স্ক্যামারদের এই জালিয়াতের ধরণ 'সেলেব-টোপ (celeb-bait)' নামে পরিচিত ৷ দেখা গিয়েছে সাইবার অপরাধীরা, তারকাদের মুখ ব্যবহার করে কোনও বিজ্ঞাপন তৈরি করে ৷ সেই বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে নাগরিকদের ফাঁদে ফেলেন প্রতারকরা ৷

'সেলেব টোপ' স্ক্যামের মাধ্যমে প্রতারকরা নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার ও টাকা হাতিয়ে নিতে পারে । তবে আবারও 'ফেসিয়াল রিকগনিশন' প্রক্রিয়া চালু হলে নাগরিকরা শুধু যে প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষা পাবেন তা নয়, এটি 'সেলেব টোপ' চিহ্নত করতেও সাহায্য় করবে ৷ 'সেলেব টোপ'-এর ফাঁদে পা দিয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়লেও, পুনরুদ্ধার করা সহজ হবে ৷

মেটার তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও বিজ্ঞাপনকে সন্দেহজনক মনে হলে সেটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ছবির সঙ্গে বিজ্ঞাপনের মুখের তুলনা করা হবে। সেটি স্ক্যাম হিসেবে চিহ্নিত হলে বিজ্ঞাপনগুলি ব্লক করা হবে ৷ সেইসঙ্গে ব্যবহৃত মুখের ডেটা অবিলম্বে মুছে ফেলা হবে প্রোফাইল থেকে । মেটা এই সুরক্ষা সম্পর্কে আরও জনসাধারণের মধ্যে একটি সমীক্ষা শুরু করেছে ৷ সেটির ফলাফলের উপর নির্ভর করছে নতুন 'ফেসিয়াল রিকগনিশন' পক্রিয়া আবার কবে থেকে চালু হবে ৷

অ্যাকাউন্টগুলিতে অ্যাক্সেস পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য়

অনেক সময়ে ভুলে যাওয়া পাসওয়ার্ড ও হারিয়ে যাওয়া ডিভাইস থেকে স্ক্যামের ঘটনা ঘটে ৷ সেই সমস্ত ডিভাইসে থাকা অ্যাক্সেস পুনরুদ্ধার করা সহজ হবে ৷ পরিচয় যাচাইয়ের জন্য ভিডিয়ো সেলফি পরীক্ষা করছে মেটা ৷ ব্যবহারকারীরা একটি ভিডিয়ো সেলফি আপলোড করেন ৷ যা ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের প্রোফাইলের ছবির সঙ্গে তুলনা করা হয়। কোম্পানির তরফে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিওটি এনক্রিপ্ট করা হয়েছে ৷ হ্যাকারদের থেকে নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখাই মেটার প্রধান উদ্দেশ্য ৷