বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ: দীর্ঘ দিনের পুরনো বাইক আর ভালো সার্ভিস দিচ্ছে না ৷ ভাবছেন সামনেই দিওয়ালি, আর বাইক কোম্পানিগুলি লোভনীয় অফার দিচ্ছে ৷ সেই হাতছানি এড়িয়ে যাওয়া বাইক প্রেমীদের জন্য যে কতটা কঠিন তা বলার অপেক্ষা রাখে না ৷ এদিকে আবার পকেটের কথা ভুললেও চলবে না ৷ তবে আর দোটানায় থেকে কাজ নেই ৷ পুরনো ভাঙা-চোরা বাইককে দিন নতুন রূপ, পেট্রল বাইককে বদলে ফেলুন ইলেকট্রিক বাইকে ৷
নিশ্চয় ভাবছেন এটাও আবার সম্ভব নাকি ৷ এই অসম্ভবই সম্ভব হয়েছে ৷ এই পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে রেট্রেফিটিং ৷ ইতিধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমিত মিলেছে ৷ শহরগুলিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে নতুন রেট্রো ফিটিং প্রযুক্তি। পুরানো বাইক বিক্রি না করে রিসাইকেল করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন নাগরিকরা এমনটাই মনে করেছে বেশ কয়েকটি সংস্থা ৷ নতুন পদ্ধতিতে 10 বছরের পুরনো বাইকও আবার নতুন হয়ে উঠবে ইলেকট্রিক বাইক হিসেবে ৷
রেট্রোফিটমেন্ট কি? রেট্রোফিট হল এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি, যেখানে ব্যাটারি স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যমান পেট্রোল-ডিজেল জ্বালানী গাড়িকে বৈদ্যুতিক গাড়িতে রূপান্তর করা যায়। রেট্রোফিটিং করার সময় ইঞ্জিন এবং গাড়ির অন্যান্য সম্পর্কিত উপাদানগুলি প্রতিস্থাপন করা হয়। এই পদ্ধতিটিকে বলা হয় রেট্রো ফিটমেন্ট। একবার চার্জে এই বাইকগুলি 50 থেকে 100 কিলো মিটার চলতে পারে ৷
কেন্দ্রের সবুজ সংকেত: নাগরিক স্বার্থে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার রেট্রোফিট পদ্ধতিতে অনুমোদন দিয়েছে ৷ নতুন পদ্ধতিতে পুরানো বাইক আরও 10 বছর চলতে পারে ৷ এই পদ্ধতিতে সাধারণত পেট্রোল চালিত বাইকগুলিকে রেট্রোফিটিং করে ব্যাটারি বাইকে রূপান্তর করা হয়। বিশেষজ্ঞদের কথায়, পেট্রল চালিত বাইকগুলিকে সহজেই ব্যাটির চালিত বা ইলেকট্রিক বাইকে রূপান্তরিক করে আরও 10 বছর চালানো যায় ৷
সঠিক কোম্পানি নির্বাচন করুন : পুরানো বাইকগুলিকে ব্যাটারি চালিত বাইক বা ইলেকট্রিক বাইকে রূপান্তর করার আগে রেট্রোফিটিংয়ে পারদর্শী সংস্থাগুলির খোঁজ নিতে হবে ৷ যে সমস্ত কোম্পানি এই কাজে পারদর্শী তাদের থেকে করানো ভালো ৷ রেট্রোফিটিং কোম্পানি নির্বাচনের আগে অবশ্যই দেখে নিতে হবে সেটি অটোমোবাইল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (ARAI) দ্বারা স্বীকৃত কিনা ৷ তাবেই সেখানেই সাধের বাইকটি পাঠানো দরকার ৷
কী কী বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে:
বাইকে যে ব্যাটারি ব্যবহার করবেন সেটির গুণগতমান অবশ্যই ভালো হতে হবে। এই ধরনের ব্যাটারির জন্য ARAI স্বীকৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ARAI স্বীকৃত কোম্পানিগুলিও ব্যাটারিতে এক বা দুই বছরের ওয়ারেন্টি অফার করে। অন্যথায় ব্যাটারির মান খারাপ হলে বিস্ফোরণের ঝুঁকি থাকে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র ARAI সার্টিফাইড কোম্পানি ব্যাটারিরই গুণমানের মাপকাঠি ৷
বৈদ্যুতিক বাইক পরিবেশবান্ধব: যানবাহনের ধোঁয়া থেকে দূষণ ক্রমশই বাড়ছে। গাড়ি ও বাসের তুলনায় পুরনো বাইক ও স্কুাটার থেকে বেশি পরিবেশ দূষণ হয় বলে মনে করছেন অনেকে ৷ পরিবেশ দূষণ বন্ধ করতে কেন্দ্রের তরফে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে ৷ সেইসঙ্গে বিভিন্ন রকমের ভরতুকি দিচ্ছে ৷ পুরানো বাইকগুলিকে বৈদ্যুতিক বাইকে রূপান্তর করা পরিবেশের বান্ধব করে তোলা যেতে পারে ।