হায়দরাবাদ, 24 জানুয়ারি: আজ প্রায় অধিকাংশ বাড়িতে এসি-র ব্যাবহার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছে ৷ এসি চালানো মানেই বিপুল পরিমাণে বিদ্যুতের খরচ ৷ উদাহরণ হিসsবে বলা যেতে পারে সারাদিন বাড়িতে সমস্ত আলো জ্বালালে যতটা না বিদ্যুতের খরচ হয়, রাতের বেলায় মাত্র এক ঘণ্টা এসি চালালে সেই পরিমাণ বিদ্য়ুত খরচ হয় ৷ শুধু যে আর্থিকক্ষতি হয় তা নয়, অনিয়ন্ত্রিত এসি চালানোর প্রভাবে পরিবেশ দূষণ বেড়ে যায় ৷ তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই সহজেই এই সাধারণ সমস্যা এড়ানো যায় ৷
অনেকেই মনে করেন ঘণ্টা খানেক কম তাপমাত্রায় এসি চালিয়ে ঘর কিছুক্ষণ ঠান্ডা হওয়ার পর মেশিনটি বন্ধ করে দিলে বিদ্যুতের বিলে অনেকটাই সাশ্রয় হয় ৷ এই ধারণা একেবারেই ভুল ৷ ফল উলটো টাই হয় ৷ অত্যধিক কম তাপমাত্রায় (17 ডিগ্রি সেলসিয়াস) দ্রুত ঘর ঠান্ডা করতে গিয়ে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয় ৷ কারণ ঘরের গরম আবহাওয়াকে দ্রুত ঠান্ডা করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয় ৷ পরিবর্তে যদি ধীরে ধীরে ঠান্ডা করা হয় তবে বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কমে যায় ৷ আরও ভালো হয় যদি ঘরটিকে যতটা সম্ভব বাইরের তাপমাত্রা থেকে রক্ষা করা যায় ৷ প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরটিকে ঠান্ডা রাখা ৷
ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য কী কী করবেন:
- ঘরের জানালা- দরজা বন্ধ রাখুন ৷
- ঘরে ড্রাফট স্টপার ব্যবহার করতে পারেন ৷ যাতে ঘরে গরম হাওয়া প্রবেশ করতে না পারে ৷
- ঘরের মধ্যে গাছ লাগাতে পারেন ৷ এতে ঘরের তারমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে ৷
- বিশেষ করে বাড়ির উত্তর এবং পশ্চিম দিকের বাইরের শেডিং লাগাতে পারেন সূর্যলোকের তাপ থেকে বাড়িকে রক্ষা করতে ৷
- বাড়ির ছাদ ও সিলিং এমনভাবে তৈরি করা দরকার যাতে সূর্যের তাপ ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে ৷
- খুব গরমে ওভেন এবং কুকটপ ব্যবহার কম করুন ৷
- ছাদে সোলার সিস্টেম লাগালেও সূর্যের তাপ আসা কমে যায় ৷ এর ফলে আপনার বাড়ি অনেক ঠান্ডা থাকে ৷
গরমে এসি চালিয়েও কীভাবে বিদ্যুৎ বিলে আশ্রয় করবেন:
এসি চালানোর সময় কয়েকটি বিষয়ে নজর দিলেই সহজেই রাশ টানা যাবে বিদ্যুৎ বিলে ৷ প্রথমেই এসি মেশিনটি 17 ডিগ্রি সেলসিয়াসে না চালিয়ে একটি বেশি তাপমাত্রায় রাখার চেষ্টা করুন ৷ যাতে ঘরের তাপমাত্রার সঙ্গে এসির তাপমাত্রার খুব একটা তারতম্য় না হয় ৷ যেমন এসি চালু করার সময় তাপমাত্রা 26 ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখতে পারেন ৷ ঘর ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে শুরু করলে এসির তাপমাত্রা কমিয়ে দিন ৷ ঘরের পরিধি অনুযায়ী এসি কিনুন ৷ এসি কেনার আগে অব্যশই বিদ্যুত সাশ্রয়ী স্টার রেটিং দেখে কিনবেন ৷
নিয়মিত এসি সার্ভিসিং:
নিয়মিত এসি বা এয়ার কন্ডিশনার মেশিনটি সার্ভিস করা অত্যন্ত জরুরি ৷ দীর্ঘ দিন ব্যবহারের ফলে এসি-তে থাকা সিলিং ফ্যানে ধুলো জমতে থাকে ৷ ফলে এসিতে থাকা ফ্যানের উপর চাপ পড়ে ৷ তাই বিদ্যুৎ খরচও বেশি হয় ৷ এসি লাগানোর সময় বাইরের ইউনিট যাতে ঠিক থাকে সে দিকে নজর রাখুন ৷ ঘরের মধ্যে থাকা ইউনিটের সার্ভিসের পাশপাসি বাইরে ইউনিটও সার্ভিস করতে হবে ৷ বাইরের ইউনিটে বসানোর সময় যদি তা ঠিকভাবে না লাগানো হয় তবে বিদ্যৎ খরচ আরও বেড়ে য়ায় ৷ শুধুমাত্র গরমকালেই নয় ৷ শীতকালেও ব্যবহার করা যায় ৷ ঘরের তাপমাত্রা গরমকরতে ব্যবহার করা যায় এয়ার কন্ডিশন ৷ এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকেব এসির বিল ৷
কীভাবে এসি নির্বাচন করবেন:
ঘরের পরিধি অনুযায়ী এসি কিনুন ৷ খুব বড় ঘরে ছোট এসি বা এয়ার কন্ডিশনার মেশিন না লাগানোই ভালো ৷ ঘর বড় হওয়ায় ঠান্ডা হতে অনেক সময় লাগে ৷ আবার ছোট ঘরে বড় এসি লাগানো অযৌক্তিক ৷ একারণেই বিদ্যুৎ বেশি খরচ হয় ৷ তাই ঘরে পরিধি অনুয়ায়ী এসি কেনা দরকার ৷ কেনার আগে প্রয়োজনে বিশষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলতে পারেন ৷ এসি কেনার আগে অব্যশই বিদ্যুত সাশ্রয়ী স্টার রেটিং দেখে কিনবেন ৷
আরও পড়ুন: