কলকাতা, 6 মে: জলের বোতল ছুড়ে ফেলে দেওয়া নিয়ে বচসা ও তার জেরে এক তরুণের পেটে ধারাল অস্ত্র ঢুকিয়ে হত্যার অভিযোগ ৷ রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ফুলবাগান এলাকায় কলকাতা পৌরনিগমের কোয়ার্টারে ৷ তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ তবে, শুধুমাত্র জলের বোতল ফেলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা, নাকি অন্য কোনও কারণ আছে ? তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
লালবাজার সূত্রে খবর, মৃতের নাম নীতীশ রবি দাস, বসয় 18 বছর ৷ তাঁর বাবা কলকাতা পৌরনিগমের একজন সাফাইকর্মী বলে জানা গিয়েছে ৷ তিনি কাঁকুড়গাছিতে একটি ড্রাই ফ্রুটসের দোকানে কাজ করতেন ৷ পরিবারের সঙ্গে কলকাতা পৌরনিগমের কোয়ার্টারে থাকতেন ৷ রবিবার রাতে কোয়ার্টারের ছাদে ঘুমোতে যান নীতীশ ৷ সেখানে কিছুক্ষণ পরে আকাশ হরি নামে বছর তিরিশের এক যুবক আসেন ৷ দু’জনের মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয় ৷
সেই বচসা চলাকালীন আকাশ নীতীশের জলের বোতল নিচে ফেলে দেন ৷ যা নিয়ে দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়, যা ক্রমে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায় ৷ অভিযোগ সেই সময় আকাশ হরি একটি ধারাল অস্ত্র নিয়ে নীতীশের পেটে আঘাত করে ৷ বেশ কয়েকবার সেটি দিয়ে নীতীশের পেটে কোপানো হয় ৷ তড়িঘড়ি সেখানে উপস্থিত লোকজন নীতীশকে উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ তবে, চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছে ৷ খবর পেয়ে ফুলবাগান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ৷
এ বিষয়ে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার তদন্তকারী এক আধিকারিক জানান, শুধুমাত্র বোতল ফেলে দেওয়া নিয়ে বচসার জেরে এই খুন বলে মনে হচ্ছে না ৷ এর পিছনে অন্য কোনও কারণ থাকলেও থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সময় অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৷ তা না হলে, দ্রুত ওই তরুণকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হত না ৷ কিন্তু, পুলিশের সামনে সকলেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন ৷ প্রতিবেশীদের দাবি, খুন হতে তাঁরা কেউ দেখেননি ৷
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত আকাশের বাবাও পৌরনিগমে সাফাইকর্মীর কাজ করতেন ৷ অভিযুক্ত আকাশকে গ্রেফতারের পাশাপাশি পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে ৷ উদ্ধার করা হয়েছে খুনে ব্যবহার হওয়া অস্ত্রটিও ৷ লালবাজার সূত্রের খবর, আটক দু’জন মূলত প্রত্যক্ষদর্শী ৷ যেহেতু কেউ পুরো বিষয়টিতে বয়ান দিতে রাজি হচ্ছে না, তাই তাঁদের গোপনে তুলে নিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ মূলত তাঁদের বয়ানের ভিত্তিতেই আকাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: