মালদা, 23 ফেব্রুয়ারি: সীমান্ত এলাকায় গুলিবিদ্ধ যুবক। পরিবারের অনুমান, কাঁটাতারের ওপারে কিছু পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে ওই যুবকের। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ মৃত যুবকের নাম মামুদ মিয়াঁ (20)। বাড়ি কালিয়াচক থানার অন্তর্গত কেয়ামতটোলা এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে মামুদ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। এরপর থেকে আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি । আজ সকালে গ্রামের লোকজন বাড়ি থেকে প্রায় 2 কিলোমিটার দূরে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার একটি মাঠে ওই যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পরিবারের লোকজন। তড়িঘড়ি মামুদকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মামুদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতের আত্মীয় তাজামূল হক বলেন, "গতকাল রাতে মামুদ মাঠে গিয়েছিল। তারপর কি হয়েছে আমরা ঠিক বলতে পারব না। গ্রামের লোকজন বাড়ি থেকে প্রায় 2 কিলোমিটার দূরের একটি মাঠে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মামুদকে পড়ে থাকতে দেখেন। মামুদের বুকে গুলির ক্ষত চিহ্ন ছিল । উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কাঁটাতারের ওপারে হয়তো কিছু পাচারের চেষ্টা করছিল। নয়তো রাতে ওই এলাকায় যাওয়ার কথা নয়। সেই সময় হয়তো বিএসএফ গুলি করেছে।"
এই ঘটনায় বিএসএফের তরফে এখনও কোনো প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে পুলিশের একাংশের অনুমান, পাচারকারীদের রুখতেও বিএসএফ এভাবে গুলি চালায় না । এর পেছনে অন্য কোনো ঘটনা থাকতে পারে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, মালদা জেলার একদিকে বিহার অন্যদিকে বাংলাদেশ । ভৌগলিক অবস্থানের জন্য বরাবরই মালদা জেলাকে পাচারের করিডর হিসেবে ব্যবহার করে থাকে পাচারকারীরা। ইন্দো-বাংলা সীমান্ত এলাকায় জালনোট, ইয়াবা, ফেনসিডিল, মোবাইল, গরু পাচারের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। প্রায়শই পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে পাচারকারীরা ।
আরও পড়ুন: