দিঘা, 7 মার্চ: হানিমুনে এসে অভিমানে হোটেল থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন যুবতী ৷ তিনি এখন কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে গৃহবধূর স্বামীকে আটক করেছে ৷ হোটেল কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে দিঘা থানার পুলিশ ।
জানা গিয়েছে, প্রায় একমাস আগে বিয়ে হয়েছে রাধাকুমারী মিশ্রা ও স্বামী নবনিদ পাণ্ডের ৷ এই দম্পতির বাড়ি বিহারের জামুই জেলার জগদীশপুর থানা এলাকায় ৷ বুধবারই বিহার থেকে দিঘায় এসেছেন তাঁরা । যুবতীর স্বামীর দাবি, রাত সাড়ে নটায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পুরনো কিছু কথা নিয়ে বচসা বাঁধে। তারপর স্ত্রী হোটেলের তিনতলার ঘরের বারান্দা থেকে আচমকাই ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন ।
ঝাঁপ দিতে দেখতে পেয়ে স্বামী তরুণীকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করেন । কিন্তু তাঁর হাত ফসকে যায় । গৃহবধূ সোজা নীচে পড়ে যান । যার ফলে গৃহবধূর শরীরে ও মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে । তড়িঘড়ি মহিলাকে উদ্ধার করে দিঘা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় । তারপর দিঘা থানায় খবর দেওয়া হয় ।
পুলিশ আসার আগে স্বামী নাবনিদকে স্থানীয় বাসিন্দারা মারধর করেন বলে অভিযোগ । তারপর পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে । পুলিশ যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে । রাতে রাধাকুমারীর অবস্থার অবনতি হয় ৷ তাঁকে দিঘা হাসপাতাল থেকে গুরুতর অবস্থায় কাঁথি মহাকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ।
রাধাকুমারী জানান, কিছুদিন আগে তাঁদের দু'জনের বিয়ে হয়েছে । স্বামী কলেজের কেরানির কাজ করেন । দিঘাতে কয়েকদিন থাকার জন্যএসেছিলেন । রুমের মধ্যে দু'জনের ভিতরে কথা কাটাকাটি হয় । বরের উপর অভিমান থেকে রাগের মাথায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন ।"
আরও পড়ুন: