নরেন্দ্রপুর, 6 নভেম্বর: পানীয়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাইয়ে যুবতীকে বেঁহুশ করা হয় এবং তার পরে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ৷ এই ঘটনায় গতকাল দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং আজ আরও দু'জনকে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ ঘটনাটি ঘটে কালীপুজোর দিন নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় ৷
পুলিশ জানিয়েছে, আগেই রাজীব সরদার ও রাকেশ নস্কর নামে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ তাঁদেরকে হেফাজতে নিয়ে জেরার পর বুধবার মৃন্ময় সরদার (লাদেন) ও সুব্রত দাস নামে আরও দু'জনকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ । তাঁদের সকলের বাড়ি গড়িয়া এলাকায় । এই দু'জনকেও বারুইপুর আদালতে পেশ করা হবে । তবে পুলিশের অনুমান, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে । তাই ধৃতদের জেরা করার জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে ।
পুলিশ সূত্রে খবর, চারজনের মধ্যে এক যুবকের সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় নির্যাতিতার । সেখান থেকে দু'জনের কথাবার্তা শুরু হয় ৷ বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে ৷ দিনে দিনে দু'জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে ৷ পরে সেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রেমে গড়ায় ৷ নির্যাতিতার অভিযোগ, এরপর কালীপুজোয় ঠাকুর দেখতে যাওয়ার নাম করে নির্যাতিতাকে ডেকে পাঠায় তাঁর প্রেমিক ৷
1 নভেম্বর তাঁরা প্রথমে গড়িয়া স্টেশনে দেখা করেন । সেখান থেকে নির্যাতিতাকে এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যায় ওই যুবক । সেখানে তার আরও বন্ধুরা উপস্থিত ছিল ৷ ওই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পানীয়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাইয়ে যুবতীকে বেঁহুশ করা হয় বলে অভিযোগ । এরপর চারজন মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ৷ অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও যুবতী বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করে পরিবার ৷ পরে পরিবারের লোক যুবতীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ।
বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি (ক্রাইম) ফয়সাল বিন আহমেদ বলেন, "হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে 3 তারিখে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা । তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ঘটনার তদন্ত চলছে ।"