সান্দাকফু, 29 মে: বন্ধুদের সঙ্গে সান্দাকফু ঘুরতে এসে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল যুবকের ৷ মৃতের নাম তন্ময় কুণ্ডু (29) ৷ তিনি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা ৷ পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন ৷ তাঁর পরিবার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেহ নিতে দার্জিলিংয়ে পৌঁছেছে । অন্যদিকে ফালুটে দুই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ তাঁরা সিকিমের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে ৷ নেপাল বোর্ডারের মাধ্যমে সিকিম দিয়ে ফালুটে প্রবেশ করেছিলেন ওই যুবকেরা ৷ তাঁদের দেহগুলি বিএসএফের সহায়তায় নেপালের পুলিশ উদ্ধার করে সিকিমে পাঠিয়েছে ।
জানা গিয়েছে, তন্ময়-সহ সাতজন বন্ধু মিলে পাহাড়ে বেরাতে এসেছিলেন ৷ 24 তারিখ টুমলিং পৌছয় তাঁরা ৷ সেখানে রাত কাটিয়ে পরেরদিন সকালে 25 মে উঠে যায় সান্দাকফুতে ৷ দুদিন সেখানে থেকে 27 তারিখ সকলের বাড়ি ফেরার কথা ছিল ৷ কিন্তু এরই মাঝে সোমবার ভোরে হঠাৎ তন্ময়ের শরীর খারাপ করতে থাকে ৷ প্রথমে পেটে ব্যথা শুরু হয় তারপর বুকে ব্যথায় কষ্ট পেতে থাকেন তিনি ৷ তাঁর শ্বাসকষ্টও হচ্ছিল ৷ যুবকেরা যে হোটেলে উঠেছিলেন সেখানেই পর্যটক হিসাবে ছিলেন একজন চিকিৎসক ৷ তিনি তন্ময়কে দেখে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভরতি করার পরামর্শ দেন ৷
মৃত যুবকের বন্ধু তমোনাস বসাক বলেন, "সান্দাকফুতে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই ৷ তাই আমরা তড়িঘড়ি গাড়ির ব্যবস্থা করে তন্ময়কে চিকিৎসার জন্য সুকিয়া প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাই ৷ সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন ৷" এরপরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয় ৷ পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে ময়নাতদন্তে পাঠায় ৷ পুলিশ তন্ময়ের বাড়ির লোকের সঙ্গেও যোগাযোগ করে ৷ কীভাবে যুবকের মৃত্যু হল তা জানা যায়নি ৷ তার জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
পাহাড়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র সান্দাকফু ৷ কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জরুরি চিকিৎসার জন্য এখানে কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই । এক মাস আগে তিনটি অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং একজন স্বাস্থকর্মীকে এখানে রাখা হয়েছে ৷ তবে চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই বলে অভিযোগ ৷ স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও সান্দাকফুতে স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির দাবি জানিয়েছেন ।